এবারের বর্ষা তোমায় বাঙালির খাসতালুক গদ্যে জাগাবো।
যেমন এ উদ্দীপক মেঘান্ধকার–ভুত
সুর্যস্নাত পাতায় জলবিন্দুর হাসি
দিগন্তে বিদ্যুৎচমক; --এ্যাডভেঞ্চার
জাগায় বাঙালিয়ানার দুরন্ত কিছু, মহারাজ।
তেমনই গদ্যে এবারের বর্ষা তোমায়
নিষিদ্ধ অতিক্রমণে
সমুদ্রের দিকে নিয়ে গিয়ে
জাগাবো বন্দরের দুপুরে।
টিপটিপ বৃষ্টির অনিঃশেষে
ভাত বা ধাতের তাড়ায় যে নিরুদ্দেশ সফর,
বোটের তেরপলের নিচে বেআইনি...........
এবারে কোথায় সারেং?
কোসোভো না ইস্ট টিমোর?
বাগদাদ?
জাফনা, গাজা স্ট্রিপ, নাকি
এরিট্রিয়া?
ভাষার মেঘতোরণ দিয়ে
ঢুকে খুঁজবো
ইরাবতি মেকং হয়ে আবিশ্ব এক প্রবল জাতিস্মৃতিধারা
ওখানেই আকাশটা যখন রীডবাঁশির সুরে ফিকে নীল,
বলব, ‘ভারতবর্ষ? ওই যে
ওই ঠান!
বাদবাকি যা দেখছেন সব নানা জলের পিছুটান!
যাবেন নাকি সুমাত্রা, বালি?
নৌকো তৈরি, ওস্তাদ নাবিক,
আজাদ হিন্দের ছেঁড়া উর্দি,
জাতে ধর্মে কিছু হিঁদু,
মোছলমান, কিছু বৌদ্ধ, লোমাই
কাত্তিকও বটি,
মোট সব মেলায়ে বাঙালি!’
এবারের বর্ষা তোমায় সোনার তরী নয় বরং
বিপর্যস্ত সময়ের চোরাগলিতে ফিরিয়ে
মাশাল্লা, এক জাহাজি বাঙালিয়ানায় শানাবো।
No comments:
Post a Comment