অনেকদিনই ভোরের দিকে
হাঁটতে হাঁটতে নতুন পথে
যাওয়ার কথা ভাবি!
নতুন পথ বলতে কোনো
কাব্যধর্মী খোঁজ! ... না,
পাড়া-বেপাড়ার রাস্তা।
অচেনা দোর, গলির বাঁক
খুব চেনা এক সাবান-গন্ধে
ভরা অন্য উঠোন।
শ্যাওলা-ধরা ফাটল থেকে ... আরে!
চেনা লোক যে! ... ফেরিওলার
বেরিয়ে আসা
দিনের রোজগারে।
তারই পায়ে পায়ে
অচেনা বদগন্ধ নালার পাশ দিয়ে
পৌঁছোনো
বড় রাস্তায় –
কাজের বেলা শুরুর
রোদটা ধরা মুখে।
...
দেখ তো, বিস্ময় কেমন এক
অদ্ভুতুড়ে
যন্ত্র হয়ে পাহাড়-প্রমাণ,
কাজ করছে!
স্নিগ্ধতা নেই রঙে,
বাতাসে নেই সুবাস,
বিচিত্র সব গতির গুঞ্জরণে
মুগ্ধ করছে, ভয় ধরাচ্ছে,
যন্ত্রটারই চালক
চেঁচিয়ে উঠল,
”পিছনে যান, পিছনে
যান!”
হকচকিয়ে
পিছিয়ে গিয়ে
হোঁচটে ধরলাম
কাটা গাছের
গুঁড়ি।
প্রকৃতির
বিস্ময়কে
জয় করছে
যন্ত্রের
বিস্ময়।
মানুষ জিতছে
–
মানুষেরাই
অবাক হয়ে
দেখছে
নিজের জয়।
এ মুহুর্তে
যন্ত্রটার
মালিক কে তা
অর্থহীন।
তবে,
পাশের
চায়ের ঠেকে
বেঞ্চে বসে
প্রশ্নটা
ঠিক আসেই মুখে,
“কার জেসিবি, গোপালজি,
কে পেয়েছে
ঠেকা?”
ব্যাঙ্গালোর
২.১০.২০
No comments:
Post a Comment