পড়ন্ত বিকেল হল নদী
গঙ্গাঘাট হল্টের ধারে।
দাঁড়ালো ট্রেনটা – ঝাড়খন্ডে?
বাংলায়? নাকি বিহারে?
পাহাড়ের গোড়ায় দেখি সেই
পথের
আটপৌরে আলো
যার ধুলো মেখে বিহার
বাংলার গদ্যে ঢুকেছিল।
দিয়েছিল নতুন মাটি,
ভাষার প্রত্ন-অন্বেষায় –
ভাগলপুর, গিরিডি, সিংভুম,
হাজারিবাগ, দ্বারভাঙ্গা,
পুর্ণিয়ায়;
সেই পথের
ঋতু, অরণ্য, প্রস্ফূটন
ছিল কতটা প্রকৃতি?
কতটা উত্তর-নাগরিকী?
কতটা পরিচয়,
কতটা অচলায়তন?
আমরা পাটনার রাস্তায়
গত পঁচিশ বছরে
হিন্দী, উর্দু, বাংলার
প্রতর্কে বেড়ে
সুকান্ত, ফয়েজ, মুক্তিবোধের
শব্দে পেলাম
দ্বান্দিক প্রতীতি,
ছুঁলাম নিরালার ‘সরোজস্মৃতি’।…
পাহাড়ের গোড়ায় যে রাস্তাটার
বুক ভরাচ্ছে আটপৌরে আলো,
সেই পথেরই ভিতর দিকে আমার
অন্য কোনো জন্মের বাসায়
নতুন ফুল ধরালো
নদী – পড়ন্ত বিকেল!
আমি কি পারবো দিতে কাউকে
ওই ফুল?
নীল, উদ্বেল?
No comments:
Post a Comment