টাটা-রাঁচি
রূটে হড়তালের ফুটো গলে লজ্ঝড়
বাসটা
তিন ঘন্টার রাস্তা ঘন্টা পাঁচ-ছয়ে;
সে
নিতান্ত উদাসীন, পিছনের সিটে চিৎ।
চান্ডিলে
চারটে ডাইভার্সন –
বাসটা
ওল্টায় ওল্টায়…
রোধ
করতে পতন, সে আঁকড়ে ধরে ঘুম।
পেরিয়ে
যায় জলবিদ্যুৎ, স্পঞ্জ আয়রন, গুঞ্জরিত পাহাড়তলি,
অপসৃয়মান
সোডিয়াম-বাষ্প হাতছানি…
পেরিয়ে
যায় সামাজিক বনসৃজন সাক্ষরতা অভিযান।
জোনাকির
স্রোত নিভিয়ে বৃষ্টি নামে তুমুল;
জানলা
নামাতে গেলে খুলে ঝপাৎ,
ছাতের
ফোকর দিয়ে গলে জল,
কেউ
কেউ ছাতা মেলে অন্ধকারে –
সে
উঠে বসে, নিজের প্রবীণতা মনে পড়ে তার।
তার
অসফলতার, শূণ্যতার প্রবীণতা,
তার
জেলাস্কুলের প্রয়োগশালার আরশোলা
তার
প্রাইভেট কলেজের তহবিল-তছরুপ…
বুন্ডু
থেকে বাস ছাড়ে সাইলেন্সারহীন ইঞ্জিনের গর্জনে
রাঁচিতে
বর্ষণমুখর রাতে
সে
ঠিক করতে পারে না যাবে কোথায় –
বরিয়াতুতে
স্বজনের বাড়ি নাকি রেলস্টেশন –
সে
আদ্ধেক পথ বরিয়াতুর দিকে গিয়ে স্টেশনের দিকে ফিরে যায়…
পুরো
ভাড়া উশুল করে গালি দেয় অটোচালক।
No comments:
Post a Comment