কী অদ্ভুত না?
লেখার জন্য দরকার বৈপরীত্য!
সাদা আর কালোর,
মসৃণ সমতল আর ছুঁচলোর!
রঙের বৈপরীত্যের কথাই মানুষ আগে জেনেছে –
তাই গুহাচিত্র!
পরে, রাজত্ব বোঝাতে এসেছে খোদাই –
সমতল আর খাঁজের বৈপরীত্য,
খাঁজে আর খাঁজে তফাৎ।
আর রাজত্বের হাঁড়ি ভাঙতে হাটে?
আমার তো সেই পাগলটার কথা মনে পড়ে।
তার লাগতো পেচ্ছাপ করার সরকারি দেয়াল
আর কয়লার টুকরো।
পূবে সূর্যের আলো ফোটার আগে ফুটে উঠতো তার
হাতে লেখা বয়ান – মন্ত্রী আর আমলাদের
দুর্নীতি আর নানা অপরাধের কীর্তিকথা,
আদালতের মামলা সংখ্যা, জমির খতিয়ান সংখ্যা, জ্ঞাপন ও এফআইআর
... সন্দেহজনক কোনো মৃত্যুর কথা...
বৈপরীত্য ছিল তার উদ্ভ্রান্ত আচরণে আর অনুশীলিত স্মৃতিতে!
আমাদের
দেখেও না দেখায়,
এড়িয়ে যাওয়ায়,
নিজের ধান্ধায় মশগুল থাকায়
কোথাও কোনো বৈপরীত্য ছিল না।
বা, কে জানে, সেটাই বিপরীত ছিল
কোনো অস্ফূট, ভিতরে গোঙানো অভিব্যক্তির!
শুধু রঙে নয়, প্রকৃতিতে নয়,
বৈপরীত্য
মগজের ভিতরেও হয় তৈরি।
কখনো দামি, কখনো সস্তা বেঁচে থাকার
প্রাত্যহিক অনুশীলনে আঘাত করে উদ্ভ্রান্তি।
কোনটাকে কাগজ মানবে কোনটাকে কলম –
তোমার বিবেক।
No comments:
Post a Comment