ওপর দিয়ে পুল; পুলের পহুঁচপথে
দেড়-দু মাইল যানজটের হাল্লা।
নিচে, পূবপছিম চমকে দিয়ে
ছুটছে
সকাল বেলার ট্রেন সব দূরপাল্লার।
কুয়াশার বেলা আটটায়
ডাকছে মিনি, ম্যাক্সি, অটো
–
হিলসা, বাঢ়, অথমলগোলা,
ইসলামপুর…
বস্তি-জলা-গাছ-পলিথিন-আবর্জনার
স্তূপ ঢেকে ধোঁয়ায়।
অদূরে বৌয়ের জাগ্রত থান, শীতলামন্দির
–
উঠোনে সেই ঐতিহাসিক, এখন বেনেবস্তির –
আগমকুঁয়া।
এক দোকানির বেঞ্চি পেয়ে
বসি,
ঠেকাই পিঠ পহুঁচপথের থামে।
মৌতাতের এই রোদটা কিনি
পরোটা আর ডিমের ঝোলের দামে।
বেলা বাড়ুক।
ফেরিওয়ালা তার দুপুরের ফেরি,
আপন ঘরের মাচা থেকে পাড়ুক।
কোথায় সে যে ইশ্বর, তার
ফাল্গুনখানা ঝাড়ুক –
বেজে উঠুক মাটির খুরি, কঞ্চির
একতারা!
আমি বরং আগমকুঁয়ার অতলে চোখ
বুঁজে
থাকি কিছুক্ষণ,
ইস্কুলের মেয়েগুলোর
গলায় বুঝে নেব
বাড়ি যাওয়ার তাড়া।
No comments:
Post a Comment