পথের কিনারে তার দেয়াল অব্দি আমায়
তোমরা নিয়ে গিয়েছিলে।
সামনের সবুজ অন্ধকার দেখিয়ে বলেছিলে,
“দেখ, যে অদ্ভুত বাগানটার কথা উঠেছিল!”
ঠাহর হতে দেখলাম
ভিতরে অন্ধকার শুধু জোনাকির নদী।
বহুক্ষণ প্রতীক্ষা করলাম যে বাগানের ধার
দিয়ে যাওয়া
রেললাইনে একটা রাতের ট্রেন যাক।
জোনাকির নদীটা কাঁপুক।
শিশমের গাছগুলোয় হাওয়া খেলুক
ট্রেন যাওয়ার
পরের নৈঃশব্দের।
আজও সেই পরের নৈঃশব্দ আমাদের
একসাথে একটা রাতের ট্রেনে বসবার জায়গা দেয় –
……………
নাকি বসেছিলাম সেদিন!
ভাবিনি যে রাত
গাঢ় হতে হতে এক ধাতব ভাঙনে টেনে নেবে ট্রেনটাকে!
আলো ফুটতে দেখব লোহার,
ফুটন্ত তরল কাদার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি!
তারপর সে কাদাও ঠান্ডা হল!
টুগবুগ শব্দে দেখলাম প্রাণ জন্ম নিচ্ছে,
বেরিয়ে আসতে চাইছে অসংখ্য বুদ্বুদে!
ধীরে ধীরে স্বচ্ছ হচ্ছি কি?
হয়ে উঠছি কি আমাদের শতকের
রাতের বাগান?
হাওয়া দিচ্ছে নতুন শতক,
জোনাকির নদীতে দাঁড়িয়ে
অন্ধকারে ফুটছি কি, আপাদমস্তক?
দূরে একটা ট্রেনেরও এগিয়ে আসার
পাচ্ছি কি
শব্দের কাঁপন, মাটিতে?
No comments:
Post a Comment