Sunday, October 18, 2020

গ্রন্থাগার – সমুদায়গত জ্ঞান এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান

         গ্রন্থাগার এমন একটি জায়গা যেখানে বসে আপনি সেই সমস্ত বই পড়তে পারেন যেগুলো কেনা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। শুধু বসে পড়াই বা কেন, কিছুদিনের জন্য বাড়িতেও নিয়ে আসতে পারেন। আবার গ্রন্থাগার এমন একটি জায়গাও বটে, যেখানে একটি পাঠাগারও আছে – প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র আসে, সাপ্তাহিক এবং মাসিক পত্রপত্রিকা আসে আর সেগুলো ওখানে বসে যেমন পড়ি, তেমনই একসাথে পাঠরত মানুষেরা কথাবার্তা বলে বর্তমান সময় সম্পর্কে নিজেদের চিন্তাভাবনাগুলোকে স্পষ্ট করে তুলি।  

কিন্তু শুধু কি তাই?

ইংরেজিতো আজকাল আলাদা করে বলতে হয় লাইব্রেরী অফ বুকস্‌! কেননা নয়া জমানায় অডিও এবং ভিডিও লাইব্রেরীও লাইব্রেরী! আবার আজকের আধুনিক গ্রন্থাগারে এই দুটি অতিরিক্ত বিভাগ গড়ে তোলাও প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কেননা অডিও/শুধু ফিল্ম বা গানেরই হয়না। কোনো একজন বিখ্যাত ব্যক্তির ঐতিহাসিক বক্তৃতার অডিও/ভিডিও রেকর্ডিং সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। আমি তো কখনো প্যারিসে যেতে পারব না। পাকিস্তানেও না। ব্যবস্থা থাকলে কোনো গ্রন্থাগারের ভিডিও বিভাগে বসে, প্রজেক্টর চালিয়ে পর্দায় লুভ্‌র মিউজিয়ামের ভার্চুয়াল ট্যুর সারতে পারি; থামিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে পারি রেমব্রাঁর ‘রাতের প্রহরা’! মহেঞ্জোদড়ো-হড়প্পার খোদাইয়ের ভিতরে নেমে দাঁড়াতে পারি কিছুক্ষণ!

সে যা হোক, গ্রন্থাগারের আধুনিকিকরণ আপাততঃ আমার বিষয় নয়। আমি তো নিজের চোখের সামনে এমন একটি গ্রন্থাগার দেখতে পাচ্ছি যার দেওয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে, বইয়ের আলমারিগুলো আধখোলা কেননা পাল্লার কব্জাগুলো ভাঙা, নতুন বই আসে না কেননা দশ বছর ধরে ফান্ড নেই, পুরোনো পৃষ্ঠপোষকেরাও আর নেই, সরকারের তরফ থেকে গ্রান্ট পাওয়া তো দূরের কথা – ভিতরের খবর বলছে যে কোনো প্রমোটার মোটা টাকা দিয়েছে সম্পর্কিত সরকারি বিভাগে যাতে গ্রন্থাগার বন্ধ করে দেওয়ার বা এখান থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয় এবং জমিটাতে মল এবং এমিউজমেন্ট পার্ক তৈরি করার ডিপিআর জমা দেওয়ার ডাক পায় সে।

সত্যিই কি এই গ্রন্থাগারটির আর কোনো প্রয়োজন নেই? অনিবার্য এর মৃত্যু? আমাদের সন্তানেরা, যাদের পড়াশোনায় এই গ্রন্থাগারটির আর কোনো কাজের নয়, যখন ব্যাঙ্গালোর বা হায়দ্রাবাদ বা চেন্নাই, পুণে, মুম্বাই কিম্বা বিদেশে যাবে, এই গ্রন্থাগারটির স্মৃতি তাদের মনে থাকবে পথের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ধ্বংসস্তুপের মত - খুব বেশি হলে নিজেদের জন্মস্থানের গৌরবময় অতীত বলে স্বীকার করবে ধ্বংসস্তুপটিকে। কিন্তু সেটা কি ভালো হবে?

আর যদি তাই হয় তাহলে কতখানি ওই সন্তানেরা আমাদের সন্তান থাকবে আর আমরা তাদের অভিভাবক?

এমনই অসংখ্য প্রশ্ন প্রেক্ষাপটে নিয়ে রয়েছে আজ এ প্রদেশের কয়েকশো গ্রন্থাগার।

পৃথিবীতে যেখানেই মানুষ তার ডেরা বেঁধেছে, ধীরে ধীরে সে জায়গাটি জনপদ বা গ্রাম হিসেবে পরিচয় পেয়েছে, সমুদায়গত পীঠস্থানগুলোর নির্মাণের সাথে সাথে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনে গ্রামসভা স্থাপিত হয়েছে, তাকে নেতৃত্ব দিতে গাঁওবুড়োদের বৈঠক একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। গ্রামদেবতা বা গ্রামদেবীর অধিষ্ঠান হয়েছে। কখনও সেখানেই বা প্রচলিত পন্থা অনুসারে অন্য কোনোখানে মন্দির তৈরি হয়েছে – এক থেকে বেশি ধর্মমতের মানুষ থাকলে মসজিদ, গুরুদ্বারা বা গির্জা তৈরি হয়েছে। এভাবেই মন্দিরের সাথে টোল, মসজিদের সাথে মদরসা এবং পরবর্ত্তীকালে পাঠশালা তৈরি হয়েছে।

যে কোনো গ্রাম বা জনপদের জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলো সমুদায়গত সংস্কৃতি এবং জ্ঞানের শক্তিপীঠ। আজকাল এই পীঠগুলোকে অনেক জায়গায় অসৎ উদ্দেশ্যে, সমুদায়গত শক্তিকে ভূল পথে নিয়ে যেতেও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তাতে এগুলোর অন্তর্গত ক্ষমতা আরো বেশি করে প্রমাণিত হয়।

যদি গ্রামে একটি সাধারণ গ্রন্থাগারও থাকে, তাহলে পূর্বোক্ত সমুদায়গত পীঠগুলির কার্যকলাপ সার্থকতর হবে। যেসব দুষ্টবুদ্ধি সমুদায়গত যৌথশক্তিকে ভূল দিকে চালিত করতে চায় তাদের মোকাবিলা আরো ভালো করে করা সম্ভব হবে। সার্থকতার প্রসঙ্গে বিশদ করে বলার প্রয়োজন নেই যে সাধারণ গ্রন্থাগার থেকে পাওয়া তথ্য এবং জ্ঞান গাঁওবুড়োদের বৈঠকের, গ্রামসভার চিন্তাভাবনা, বিতর্ক, সিদ্ধান্ত কিম্বা ভক্তগণের ভক্তিকে দেশ ও বিশ্বের ভাবনাপ্রবাহের সাথে জুড়বে এবং সেই ভাবনাপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে নিজেদের দেখতে সক্ষম করবে। সবাই হয়ত শিখবে না, তবু অনেকে শিখবে যে দেশের ঐক্য ও প্রগতির স্বার্থ, বিশ্বমানবতার স্বার্থ সবচেয়ে বড় - ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থগুলো থেকে অনেক বড়।

দুষ্টবুদ্ধিগুলোর কাজ তো হল মিথ্যে গল্প, বিকৃত আখ্যানের মাধ্যমে আবেগ উস্কিয়ে মানবতার প্রধান স্বার্থগুলো ঝাপসা করে দেওয়া। নিজের মাকে মা বলায় থাকে স্বধর্মপালনের আনন্দ। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা পরের মাকে বেশ্যা বলতে শেখায় যাতে হানাহানি লাগানো যেতে পারে। জাত-বর্ণের প্রাধান্যের ধারণাগুলো হাজার বছর ধরে এদেশের সমুদায়গত যৌথশক্তির সবচেয়ে বড় ফাটল। দুষ্টবুদ্ধি এই ফাটলটাকে জিইয়ে রেখে নিজেদের কাজে লাগাতে চায়। তাই দুদিকেই উস্কানি দেয় অথচ অন্তর্নিহিত আর্থিক প্রতিপত্তি ও প্রাধান্যের প্রসঙ্গটাকে ঝাপসা করে রাখে। সাধারণ গ্রন্থাগার, পাঠাগার এইসব প্রবৃত্তিগুলোর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একই সঙ্গে এই নতুন শক্তিপীঠ আরেকটি কাজ করতে পারে। গ্রাম গেজেটিয়ারের নির্মাণ।

একটু ভাবুন পাঠক! আপনি যে গ্রামের বাসিন্দা, সে গ্রামটি আপনার সাথেই তো আর জন্ম নেয়নি! আপনি জানেন যে গ্রামটির প্রতিষ্ঠা কবে হয়েছিল? কখনো কোনো বুড়ো মানুষের মুখে গল্পচ্ছলে শুনে থাকবেন যে ১৯৩৪এর ভূমিকম্পে এতগুলো বাড়ি ধুলোয় মিশে গিয়েছিল অথবা অমুক জায়গায় ফাটল ধরেছিল অথবা মাটি ফেটে দেখা দিয়েছিল কালগহ্বর! অনেকে মারা গিয়েছিল! কারা মারা গিয়েছিল? কোথায় ফাটল ধরেছিল? কোন কোন পরিবারের বাড়ি ধুলোয় মিশেছিল! প্লেগের মহামারিতে গ্রাম খালি করে সবাই পালিয়েছিল! সবাই ফিরে এসেছিল? কোনো বুড়ো মানুষের মুখে হয়ত শুনে থাকবেন যে গান্ধিজির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনে আপনার গ্রামেরও অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন! ভারত ছোড়ো আন্দোলনে আপনার গ্রামের ছেলেরাও গিয়েছিল জেলা শহরে ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে তেরঙা ওড়াতে! ওই যে ট্রেন যায় – তার লাইনের ফিসপ্লেট হটিয়েছিল গ্রামের ছেলেরা! কোথাও নথীভুক্ত করা আছে তথ্যগুলো? কেউ গান বেঁধেছিল ভগৎ সিংএর বীরত্বের! কী ছিল সেই গানের কথা? বোধহয় গ্রামের বড় ঠাকুমা জানেন। কিন্তু তিনি তো আজ আছেন কাল নেই! কেউ কি তাঁর কাছে শুনে লিখে রাখছে সেই গানের কথা, সুর?

গ্রন্থাগারকে কেন্দ্র করে এই সমস্ত কাজ শুরু করা যায়।

এবার আসুন একটু ইতিহাসের দিকে নজর দিই।

৬০০ খ্রীস্টাব্দে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বহুতল গ্রন্থাগার ছিল। বিক্রমশিলা, ওদন্তপুরি এবং তক্ষশিলাতেও বড় গ্রন্থাগার থাকার সাক্ষ্য রয়েছে। মধ্যযুগে মোগল বাদশারাও গ্রন্থাগারের উন্নয়নের দিকে নজর দিত। আকবর ফতেপুর সিকরিতে নারীদের জন্য আলাদা করে একটি গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করেছিলেন। ইংরেজরা এসেছিল তো লুন্ঠনের উদ্দেশ্যে, কিন্তু শিল্পবিপ্লব ও ইওরোপীয় নবজাগরণের পরম্পরা সাথে ছিল বলে তাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্কুল, কলেজ, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার ইত্যাদি শামিল ছিল। জাতীয় গ্রন্থাগার, এশিয়াটিক সোসাইটি ইত্যাদির প্রতিষ্ঠা তাদের শাসনকালেই হয়। ১৮৫৫ সালে গয়ায় পাব্লিক লাইব্রেরী স্থাপিত হয়। ১৮৯১ সালে খুদাবক্স ওরিয়েন্টাল পাব্লিক লাইব্রেরী জনসাধারণের জন্য অবারিত করা হয়। বড়োদার মহারাজা সয়াজি রাও গায়কোয়াড়-৩কে আজকের ভারতের গ্রন্থাগার আন্দোলনের জনক বলা হয়। এই রাজা নিজের রাজত্বে বাধ্যতামূলক নিঃশুল্ক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। সারা ভারতে এটিই প্রথম এমন ব্যবস্থা ছিল। সয়াজি রাও সরকারি সংরক্ষণে গ্রন্থাগার নির্মাণ শুরু করান। ১৯১০ সালে বড়োদায় ২৪১এর বেশি সাধারণ গ্রন্থাগার ছিল; সেগুলোয় বইয়ের সংখ্যা ছিল এক লক্ষের বেশি। ১৯০৭ সালের মার্চ মাসে পুরো রিয়াসতে ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার খোলার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তার জন্যই ওই সালটি ভারতের সাধারণ গ্রন্থাগার আন্দোলনের জন্মবর্ষ হিসেবে স্বীকৃত। 

স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বের চিন্তাভাবনার অভিন্ন অংশ ছিল ভারতের নবনির্মাণ যাতে শিক্ষার প্রসার এবং সাধারণ গ্রন্থাগার প্রণালীর উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছিল। গত শতকের তিরিশের দশকে যেমন দেশে অন্তর্বর্ত্তী সরকার গঠিত হল, কেন্দ্রীয় ব্যাংক - ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক – স্থাপিত হল তেমনই প্রথম সর্বভারতীয় গ্রন্থাগার সম্মেলন এবং প্রথম সর্বভারতীয় সাধারণ গ্রন্থাগার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলোর জন্য মডেল সাধারণ গ্রন্থাগার আইন নিয়ে কথাবার্ত্তা শুরু হল।

১৯৩৬ সালের ১৫ই অক্টোবর তারিখে বিহার পুস্তকালয় সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হল এবং তার উদ্যোগে ১৯৩৭ সালে বিহার পুস্তকালয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবী জানানো হলঃ-

১।      পাটনায় একটি রাজ্যস্তরের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা

২।      প্রত্যেকটি জেলা শহরে জেলাস্তরের গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা

৩।      মহকুমা শহরে মহকুমা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা

৪।      সবক’টি বড় গ্রামে গ্রামীণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা

স্বাধীনতা লাভ করার পর দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রালয় কর্ত্তৃক এ বিষয়ে বেশ কিছু আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। যেহেতু এই বিষয়টি দেশের সংবিধান অনুসারে রাজ্যসূচীতে আসে তাই বেশ কয়েকটি রাজ্যসরকারও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিল। তামিলনাডুতে ১৯৪৮এ, অন্ধ্রতে ১৯৬০এ, কর্ণাটকে ১৯৬৫তে, মহারাষ্ট্রে ১৯৬৭তে, পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৯এ, মণিপুরে ১৯৮৮তে, কেরল ও হরিয়াণায় ১৯৮৯এ, মিজোরাম ও গোয়ায় ১৯৯৩এ, ওড়িশা ও গুজরাটে ২০০১এ, উত্তরাঞ্চলে ২০০৫এ, রাজস্থানে ২০০৬তে এবং বিহারে ২০০৭এ সাধারণ গ্রন্থাগার আইন পাশ করা হয়েছে।

২০০৭ সাল এদেশে সাধারণ গ্রন্থাগার প্রণালীর উদ্ভবের ১০০ বছর পূর্তির বছর হিসেবে উদযাপন করা হয়েছে। ২০০৬ সালে করানো একটি সার্ভে অনুসারে বিহারে সে সময় একটি রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এবং দুটি রাজ্য গ্রন্থাগার, ছয়টি ক্ষেত্রীয় গ্রন্থাগার, সাতটি বিশেষ গ্রন্থাগার, সতেরোটি জেলা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, এগারোটি মহকুমা গ্রন্থাগার, তিনশো আঠাশটি ব্লক গ্রন্থাগার এবং চার হাজার চারশো বাইশটি গ্রামীণ গ্রন্থাগার ছিল। এগুলো সব সরকারি গ্রন্থাগার। এছাড়া ছিল ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগার, স্কুল, কলেজ, অফিস, কাছারির নিজিস্ব বিভাগীয় গ্রন্থাগার।

আজ কী অবস্থা এই গ্রন্থাগারগুলোর? এটা জানার জন্য কোনো পরিসংখ্যানের দরকার নেই। এই লেখাটি বাংলায়, এবং যাঁরা পড়বেন তাঁরা বরং বিহারে গ্রন্থাগারের উপরুল্লিখিত সংখ্যাতথ্যটি পড়েই চকিত হবেন, কেননা বাস্তব এটাই যে সাধারণ গ্রন্থাগার প্রণালী বিগত তেইশ বছরের নব-উদার উন্নয়নী এজেন্ডার অনেকটা বাইরে। তাদের ধুলিমলিন মৃতপ্রায় অস্তিত্বের অন্ধকার ভোগবাদী আলোর দেওয়াল তুলে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বাইরেও, মনের ভেতরেও।

No comments:

Post a Comment