পৃথিবীর
বিভিন্ন ভাষায়
সাথিদের
সে প্রশ্ন করেছিল,
“ভেবে দেখ!”
সাথিরা
সমস্বরে তাকে সঁপেছিল
ভাঙা
শিকলের লোহাগুলো আর নিজেদের এক এক মুঠো আগুন।
আরো
অনেক কিছু সে পেয়েছিল চলার পথে যেমন
ফ্যানখাওয়া
চাষীর ছোট্টো কিন্তু মায়াবী দেশ
মেয়েপেটানো
কারিগরের জাদুসিন্দুক আর
সর্বস্বান্ত
ব্যাপারীর গুপ্তধন – ছেঁড়া নকশা।
কবিও
কি দেয়নি তার অলিখিত কবিতা?
শিক্ষক,
তার ঝাপসা চশমা?
দার্শনিক,
তার স্ফটিকের গোলকধাঁধাটা?
......
শতাব্দী
শেষ হতে হতে
লেনিন
হাসলেন,
“দেখি, সামলাও এবারে নিজের মুরোদে
লস্কর!”
সময়ের
পরিখায় জখমের গন্ধ বইল।
চলল
দেয়ানেয়া
আপন
আপন দেশের মাটিতে ঘাসে
কুড়িয়ে
তোলা নক্ষত্রকুচি,
ঋতুগুলির
রক্তাক্ত ভাঁজ থেকে ছাড়ানো
শিকড়ের
সাইক্লোন…
ওদিকে
গলির শেষপ্রান্তে পুরোনো বাড়িটায়
পার্টি-দপ্তরে
সকালে
চেয়ার
টানার আওয়াজ...
কেউ
উঠল সাবধানে –
কাজে
বেরুনোর আগে
মনে
পড়ল তার,
ধুলো
ঝাড়া হয়নি বহুদিন
স্টালিনের
প্রতিকৃতির।
পুরো
সময়ের পার্টিকর্মী সে,
আজও
হারায়নি
দেড়শো
বছর আগে পাওয়া
সাথিদের
দেওয়া উপহার, পাথেয় আর রসদ।
আজও
প্রতিদিন
সংগ্রামের
রক্তে মিশে যায়, মাটিতে নাইট্রোজেন যেমন,
এক
হোলটাইমারের মেঘলা সকালগুলো,
অপর্যাপ্ত
মাসোহারা, অপুষ্টি ও আঠারো ঘন্টার শ্রমদিন,
কোনো
ভোররাতে পাওয়া বিশ্বাসঘাতকতা,
কোনো
অবেলায় পাওয়া নতুন মাতৃস্নেহ,
মিশে
যায় সেই ভাঙা শিকলের টুকরোগুলো,
মুঠোয়
ধরে দেওয়া আগুন।
No comments:
Post a Comment