কে তুমি অন্ধকারে একা জানালার সামনে দাঁড়িয়ে ?
শেষবারের মতো দেখে নিচ্ছো রাতের আকাশ,
ঘরে ঘুমন্ত শিশুর নিঃশ্বাসের শব্দ শুনছো শেষবার,
শেষবার দেখছো বাইরের নিঃশব্দ পৃথিবীর ওপর
মানুষের
দুনিয়াটাকে
যা তোমায় বাঁচতে দিলো না ... !
হাত থেকে নামাও কেরোসিন অথবা বিষের বোতল ।
কড়িকাঠ থেকে শাড়িটা খুলে পরে নাও ।
যাও ।
নদীতে ডুব দিও না, পার করো ।
পারো তো মাঝির কাছে জীবনের হদিশ জেনে নিও ;
বড়ো প্রাচীন আর উজ্জ্বল এই কথাটা
আমি
আবার বলছি ।
ডিস্ট্যান্ট সিগন্যালের কাছে দাঁড়িও না, স্টেশনে যাও ।
ট্রেনে ধানকাটনি পরিবারের মেয়েদের দেখা পাবে –
ওরা দেশান্তরী পাখিদের মতো –
পারলে ওই দেশান্তরী পাখিদের সাথে আলোচনা করো ;
বড়ো গতিশীল, ঝড়ের মতো এই কথাটা
আমি
আবার বলছি ।
যেখানে ইচ্ছা চলে যাও ।
পাথর ভাঙো, জেল খাটো, নষ্ট হয়ে যাও ।
যা ইচ্ছা করো ।
অনেক বড়ো এই পৃথিবী ;
যতদিন জীবন
কোনো কথাই শেষ কথা নয়,
কোনো পরিচয় শেষ পরিচয় নয়,
কোনো মৃত্যু অনতিক্রম্য নয় ।
রাতের এই সময়
তোমার
শেষ নয়
এক
ভিন্ন তোমার শুরু ।
[১৯৮০]
No comments:
Post a Comment