Friday, October 9, 2020

টেঢ়া পুল

আজ পাঁচটা খুন হয়েছে শহরে।

ভিতরে তিনটে, দুটো বাইরে।

মর্গে এসেছি তাই জানছি।

একজনের জন্য আমরা, বাকি চারজনের জন্য অন্যরা

আজ বেওয়ারিশ কেউ নেই।

                  

কয়েকজন কাঁদছে।

তাদের সামলানোর গুরুভার কয়েকজনের ওপরে ন্যস্ত।

কয়েকজন জমাদারকে রাখছে কথায় মশগুল

যাতে ডাক্তার এলে আগে পেয়ে যায় লাশ।

আমাদেরটার পয়সা দেওয়া আছে, ভাবতে হবে না।

আসল তো ডাক্তারের রিপোর্ট, তারই ওপর দাঁড়াবে কেস!

 

মর্গের চারদিকে ডোবায় হেলিওট্রোপ, অজস্র, আকাশ শুষছে, হাওয়ায় দুলছে।

খুনীদের চরেরাও আমাদের মধ্যে আছে কিন্তু সেটা পরের ব্যাপার।

আগে লাশের দাহসংস্কার করা জরুরী।

 

এখানেই তাকে অটো থেকে টেনে নামিয়ে হত্যা করেছিল।

দুষ্কৃতিরা, না, রাজনৈতিক কিছু নয়, তবে আমাদের

কমরেড জড়িয়ে পড়ছে ক্রমাগত

নিহত তার ভাইয়ের সমস্যায়,

আদালত, পুলিস আর হত্যার হুমকির মোকাবিলা করতে করতে।

নতুন কোনো কাজে আমরা তাঁকে

পাচ্ছি না…”

 

আমবাগান আর নদীতীরের

ইঁটভাটা দুদিকে ফেলে হাইওয়ে

সরু হয়ে গ্রামের রাস্তার মত বাঁক নিয়েছে এখানে -

শেরশাহের জমানার ছোট্টো সেতুটা ধরতে।

পুরো এলাকাটারই নাম এখন

টেঢ়া পুল! বাঁকা সেতু!

সুর্যাস্ত থেকে গরম বিস্কুটের গন্ধ ভেসে এল কারখানাটি নতুন।

 


No comments:

Post a Comment