শেষগ্রীষ্ম তাঁকে খুব হাল্কা, কৃশকায় করে রক্তে
আরো এক বয়ঃসন্ধি দিয়েছিল, চাপতে রেকাবে;
বলেছিল, দেখ মিঞা এবারের বর্ষা হবে প্লাবী,
অনেক পুরোনো ধোঁয়া মিঠে হয়ে চশমা ভেজাবে ...
দুপুরে পুত্রের নীল জামাটি চড়িয়ে কাঁপা হাতে
মাথায় গামছা ফেলে, ধীরে হেঁটে, ককিয়ে অস্ফূট,
পৌঁছোতেন বৈঠকে পার্টির, সমাবেশে, ও নিত্যই
সংগঠন দপ্তরে, ঈষৎ ফস্কা যেন বা রংরুট ...
দেখতেন লোকেরা যা দেখে, মনে রাখে, ভোলে।
শুনতেন সব শোনা, বলা ও নিজের পালা এলে উঠে ধীরে
ন্যায়-অন্যায়ের চলিত প্রসঙ্গ থেকে রঙ্গে,
(বুড়োটে মাকালদের ভেল্কি দিতে) গরলে ও ক্ষীরে
কারবালা, কুরুক্ষেত্র, কলিঙ্গের সন্ধ্যা ছোঁয়াতেন,
দৃষ্টি থেকে, সংখ্যা থেকে, আশা ও ক্ষোভের দ্বৈতে একচুল
পা রাখার জায়গা খুঁজে অকস্মাৎ ওড়াতেন
শ্রমের কেতনখানি প্রতিবার, অমোঘ, নির্ভুল।
সাথীদের ব্যস্ত বুকে হানতেন প্রশ্ন, যা দাঁতাল।
কেতাবী উত্তর ঠুকে ভাবি, বেশ লড়ছি তো,
কাজেই নিবদ্ধ আছে
দিন!
অথচ সে প্রশ্ন নির্বিবাদ প্রথম তাঁর বিতর্কে হত জাদু।
বাঁচার চ্যালেঞ্জ হত, বেড়ে যেত কৌমঋণ!
তেঁতুল গাছের ছায়ে টাটকা মাটির ছোট্ট ঢিবি
তার নিচে শোয়ালাম এক ফালি অশান্ত পৃথিবী।
No comments:
Post a Comment