আমার লেনিন শ্বেতবসনা একটি মেয়ে।
শামলা মুখে সেদিন তিনি প্রভাবতী;
তখনো ঘুমচোখে, দেখি হঠাৎ ঢুকে
‘বিদ্যুৎ! ওই বইটা আছে?’ বলে নিজেই
হাত ডোবালো র্যাকে আমার বইয়ের গাদায়।
আমি, বলতে ভ্যাবাচ্যাকা। চাদর ঠেলে
একা থাকার রাত-পোড়ানো কালি নিয়ে
বেরুব কি, খালি গায়ে, জাঙ্গিয়াতে ...
‘ধ্যাত্তেরি, এই এক্ষুনি এর আসার ছিল?’
সেদিন নাকি কোন্ এক দিন, ইতিহাসের!
ছাত্রসঙ্ঘে সভা, ওকে বলতে হবে।
আমি শালা জানিওনা, ‘দাঁড়াও দেখি!’...
বলতে বলতে আলোর রেশে বেরিয়ে গেল।
কি তেজি মেয়েরে বাপ, রুখবে টা কে!
যেন ভালোবাসার চ্যালেঞ্জ, আগে লেনিন!
দূরেই রয়ে গেলাম নিজের নিজের মতন।
কিন্তু একটা ধাক্কা যে ও সেই সকালে
দিলো, সেটা চিনচিন করে ভাবতে গেলে।
--------------
এ্যাদ্দিন পর। আছো কোথায়? কাঁটাটোলির
মানে রাঁচির বাসস্ট্যান্ডে, মনে আছে,
একমিনিটের হঠাৎ দেখা? সেরাত্তিরেও
মনে হয়নি ভাবতে হবে কোনো কালে
লেনিনকে খুব জানার খিদে কে জাগালো।
সেই সকালে হাসছিলে কি ফেরার পথে?
হেসো না, এমনও নও মায়াবিনী।
কী হত, আবার এলে? জাগলাম তো!
ব্যাঙ্গালোর
৩০.৮.২০
No comments:
Post a Comment