বামুন ছিলেন, বামনেমিতে
কষ্ট পেতেন রাগে,
বিদ্বানদের শ্রেষ্ঠ হয়েও থাকতেন না
বিদ্বানদের বাগে।
তাঁকে পেত গ্রামের গরীব
ছানাপোনা, বৌ, দিদিমা,
চাষী, রাখাল, জেলে,
শূদ্র হোক বা মুসলমান –
হতেন তাদের ঘরের আপন ছেলে।
বীরসিংহ, কলকাতা
বর্ধমান বা কর্মাটাঁড়
ধুলোয় ঘামে চষা,
ভুখার মুখে অন্ন তোলা,
মারীর গ্রাসে পড়া রুগির শুশ্রূষা
নিজের হাতে, আর তাদের
ওষুধ-পথ্য ... সারাটা জীবন,
প্রশ্নে দাগল জ্ঞানমুগ্ধ যুগের সঞ্চরণ।
তবুও আবেগ নয়।
কাজের ধারায় বলে দিলেন
ঠান্ডা মাথার,
যোদ্ধার কূট-রোখের হবে জয়।
প্রয়াসী তাঁর কাজে,
লড়াকু এক ধার,
নতুন যুগকে ধরিয়ে দিল উত্তরাধিকার –
‘খন্ডন করো যুক্তি দিয়ে মিথ্যার বেড়াজাল!
শক্তি হবে জীবনসত্য মানলে সমকাল।
দেশের সেবা বঞ্চিত ওই মানুষজনে ঢালো –
কাঙাল নয় কেউ;
দেশকথায় আলো চাইলে মোছ
ওদের প্রাণের অবিশ্বাসের কালো।’
ব্যাঙ্গালোর
৪.৯.২০/ ২০.১০.২০/ ৯.১১.২০
No comments:
Post a Comment