এত ভাষা তবু কোলাহল হয়না কখনো।
প্রত্যেকের শ্রোতা আছে যারা আর কারো নয়।
একটাই আমি, দেখ কানে শুনছি তোমাকে
দু’চোখ ভরে শুনছি ছাতের পায়রাদের,
মাথার কন্দরে এক ঘড়ির শব্দ শুনছিঃ
যেতে হবে! আগে প্রাণে ভরে নিই বেলা।
এত ভাষা তবু কোলাহল হয়না কখনো।
একটি ঝিলে দুপুরে, একটি গাছে সন্ধ্যায়
শীতের খবর দেয় পরিযায়ী পাখিকূল
পৃথিবীর কত হ্রদ ছেড়ে এভূঁয়ে, রোদ্দুরে!
পাহারার মানুষটিও তাদের কথা শোনে,
বলে, বকুনিও দেয় মাঝে মাঝে – তারা বোঝে!
এত ভাষা তবু কোলাহল হয়না কখনো।
ওদিকে সমুদ্র ডাকে, এদিকে জনসমুদ্র!
সমুদ্রের ঢেউ বেয়ে জনসমুদ্রে পৌঁছোয়
তীরবর্তী গ্রাম থেকে শ্রমিককৃষক, হাতে
লালঝান্ডা; সারা দেশ থেকে আগত মানুষ
স্লোগান তোলে বহুভাষ – কোলাহল তো নয়!
এত নীরবতা শুধু কোলাহল উদ্ভ্রান্ত।
সমুদ্র বলছে কিছু? শুনতে পাচ্ছিনা কেন?
সমুদ্র দুভাবে ডাকে বলেছিলাম সেদিন
সাধতে চেয়ে মিলন; সে যে চাইলে হয় না।
কখনো শুনতে চেয়ে ডাক যেকোনো সমুদ্রের
পাই শুধু আশরীরচিত্ত অশ্রাব্য শূণ্যতা।
এত নীরবতা শুধু কোলাহল উদ্ভ্রান্ত।
যেন কাঁচের ওপারে ঘষে নামে রক্তমাখা
হাত, আর্তি অবিরাম। আমিও আছি এদিকে
লাইনে, তলিয়ে যাবো ওভাবেই একদিন।
কোনো দৈত্য নয়, আমাদেরি আত্মসুখগুলো
ধর্ষক রাষ্ট্রযন্ত্রের উল্লসিত শীৎকার।
এত নীরবতা শুধু কোলাহল উদ্ভ্রান্ত।
অমৃতভান্ড পদাবলীর রসে সিক্ত এক
চাঁদ ওঠে দু’দিগন্তে, গগনে এবং মননে।
আমরা কি দু’ভাবে পোহাবো? নশ্বরতার
একই নির্ঘুম? স্বপ্নাভাসে, নাকি কশাঘাতে?
পাশা নাচাবার শব্দ হয় তন্ত্রের মুঠোয়।
ব্যাঙ্গালোর
১.৯,২০
No comments:
Post a Comment