তার
হাতে ছিল একটা পুঁটুলি, কলমের মাটির মত ভারী।
বেশবাস
শিশুর খিদের মত অবোধ।
শরীর,
মা
ও দিদির মত,
দিদি
ও মায়ের মত এমনকি তার সন্তানের পিতার জন্যও।
সে
করেছিল ছিন্নবিচ্ছিন্ন কিছু স্বগতোক্তি নিজের দুর্ভাগ্যের যেগুলো
উপন্যাসে বহুবার আমরা পড়েছি তাই
সে উপন্যাসগুলোর মহান বাস্তববাদ অভিভূত
করেছিল আমাদের।
সেই
অন্ধকার প্ল্যাটফর্মে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলা
বিপজ্জনক ছিল আর যেহেতু
স্থানীয় ভাষা আমরা জানতাম না তাই
ভারতের
রাজভাষায় কথা বলছিলাম।
অনেকগুলো রেললাইন পেরিয়ে সে আমাদের কাছে এসেছিল।
সে
জানতে চেয়েছিল তার হাতের টিকিটটা ঠিক কিনা,
তার
ট্রেনটা কখন আসবে।
কিছুটা পর
নিজেদের
ট্রেনে চেপে, সেতু পেরোবার তীব্র ধাতব নিনাদে
হঠাৎ
মনে পড়েছিল যে আমরা ইতিমধ্যে তার গন্তব্য ভুলে গেছি।