জানি না
কিভাবে গুছিয়ে লিখি।
উড়ালপুল তৈরি হচ্ছিল – সে বর্ষাকালগুলো
মনে আছে?
মেন রোড বন্ধ,
পোস্টাল পার্ক থেকে পঞ্চমন্দির অব্দি
পাড়াগুলো জলাশয়, মাঝে মধ্যে গভীর।
তাতেই পথ খুঁজতো বড় অটোর মিছিল,
ধাক্কাধাক্কি,
ওল্টাতে ওল্টাতে ভূতনাথ, গুলজারবাগ, নই সড়ক…
সংগঠন দপ্তরে সন্ধ্যায়
পৌঁছতে দেরি হলেই ফোন,
“এলেন না? আপনার জন্য বসে আছি!
জানেন, রাতে
ভালো দেখতে পাই না!”
অথচ হাত ধরে রেলস্টেশনের আলোয় ঢুকতেই
সজোরে ছাড়িয়ে নিতেন,
“আর দরকার নেই। আলো আছে যথেষ্ট।“
পাঁচফুট শরীর, আশির ঘরে বয়স!
মনে হত, হারাবেন না তো, এই ওভারব্রীজ
পেরুনো
ঠাসা ভীড়ে!
তখনই পিছন ফিরে দেখতাম, গলে বেরিয়ে
ধুতিকুর্তাচটি, হাতে খাজাঞ্চির ব্যাগ,
কট্টর নাস্তিক,
শীর্ণ ফর্সা, সম্মেলনে ধর্মশালায় ভোর
চারটেয় উঠে কসরৎ করা পা
দ্রুত চালাচ্ছেন, “এগোন, এগোন, চিন্তা
নেই, দেখছি আপনাকে!”
যেদিন মারা গেলেন শহরে কেউ সেদিন ছিলাম
না।
ফিরে এসে শোকসভায় – আশ্চর্য!
সাকুল্যে যে ছবিটি যোগাড় হল চোখে গগলস, লাল
টুপি মাথায়,
কে বলবে লোকটি স্ক্যান্ডিনেভিয় নয়!
মে মাসের রোদ্দুরে
হঠাৎ হঠাৎ নাকে লাগে সিটির মান্ডিতে তাঁর
ছেলেদের
ব্যাবসার ডাঁই করা রঙচঙের পেছনে
শেষবেলার বন্ধ ঘরটার অন্ধকার, এঁদো গন্ধ।
পাটনা, ৪-৫-২০১২
No comments:
Post a Comment