তোমার প্রত্যয়ে যেতে
আরো দীর্ঘ হতে হয়।
শৈশবে নিসর্গে দারিদ্র্যে
ওই প্রত্যন্তচারণ
মিতবোধে ঋতবান মানুষ,
নক্ষত্রতাড়িত,
যুগ-জন্মান্তরে এই
দেশের প্রতিধ্বনিময়!
যখন সময়টা মাটি আঁচড়ে
কুড়িয়ে তুলছি
উদ্ধত শত্রুর ধারাভাষ্য
বাঁচিয়ে, লড়াইয়ের
ভিতরে চালাচ্ছি অন্য
এক লড়াই আরো গভীর,
স্নায়বিক, আরো প্রতিশ্রুত,
তখন তখনই
শুনতে পাওয়া উদ্বর্তনী
ডাক, বাত্যাহত, ক্ষীণ,
হৃদসূর্যে নৌকো শুকোবার
ও মাছ গুঁড়ো গুঁড়ো
পিষতে থাকা হাতের
মুঠোয় – তোমায় নিজেদের
শক্তি করে তুলতে
বাড়িয়েছি জাতিস্মৃতিঋণ।
ঠিক ততটাই যতটা দুর্গার
পাবক অব্যয়
মেলেছি, আমাদের যন্ত্রণার
মোহানা ছাড়িয়ে
দ্বীপগুলোর ভাঙনে
উত্থানে। আজ তুমিও দেখ
প্রাথমিক সংগ্রাম
– শাসনে সংবেদে ভাষায়
সমারূঢ়, প্রাণভোজী
কুলীন ক্রিমিদের সাথে –
ও অবসরে তোমারো সাথে
– কেন কেন তুমি
এমন হলে তেমন হলেনা
এবং আরো কিছু
তর্কে জেরবার রক্তের
গলুই, হেমন্তপ্রভাতে …।
২৭.১১.৯৪
No comments:
Post a Comment