মহামারীর অস্বাভাবিক এই সময় পেরিয়ে
মনে থাকবে কি অধুনালুপ্ত সুহৃদ পরিষদ
এবং হেমচন্দ্র গ্রন্থাগারে এক সন্ধ্যার যাপন?
যেটা সন্ধ্যা ছিল না, ছিল সাবেক যুদ্ধপ্রবণতা
একঝাঁক ভিন্ন বয়সী তারুণ্যের – ধরে রাখব
গ্রন্থাগার; জেগে উঠবে পরিষদের সুহৃদেরা!
যারা ডেকেছিল সবাইকে সেই সন্ধ্যায় অথবা
হেঁকেছিল সঙ্কল্পে তারা নেই। যে গান গেয়েছিল
মেজাজটা আনতে, সে নেই। হাতে লেখা পত্রিকাটি,
প্রথম সংখ্যার পর … নেই। বইয়ের আলমারি,
সেই বাড়ি … নেই। মানুষের মনে প্রয়োজন নেই।
মহামারী আসার আগেই এসব হল অতীত।
আর কী মাংসভাত ছিল! নাদুদা? রাণা? … কোথায়?
বর্ণালী বয়স! মাতৃভাষার টান! সঙ্কল্প-স্বাদ!
ধীরে ধীরে ছন্দে ও দ্বন্দ্বে ফিরছে পাড়ার বাজার।
রাস্তায় জলে শ্রাবণের আছাড় খাচ্ছে সাইকেল।
থাকলে ধুলো সরত বইগুলো থেকে হাতে হাতে!
ঘরের মেঝেতে হত বেঞ্চি ঘষটানোর আওয়াজ!
সুহৃদ পরিষদ এবং হেমচন্দ্র গ্রন্থাগার কি
থাকবেনা সেই একটি সন্ধ্যার স্বপ্নপ্রয়াসেও?
ব্যাঙ্গালোর
৯.৭.২১
No comments:
Post a Comment