হাত ধুয়ে
বসি বেঞ্চে, পথে দু’পা টানটান দুদিকে
ছড়িয়ে।
খিদে বাড়ে,
সোনামুখী আঁচ ঘিরে গ্রাহকের নিরুদ্বেগ তাড়া –
ভাতের
ডেকচি থেকে ধোঁয়া-ভাত, ডাল, সব্জী, ভাজা একমাপ
সকলের
জন্য আসে, আমার জন্যও একফাঁকে
তেড়ে
খাই
দোকানির
ছোট্ট মেয়ে ঘুম চোখে জলের গেলাস রেখে যায়,
উচ্চিংড়ে
তাড়াই, ঝাল-ভাজা কিছু শেষপাতে খাবো বলে রাখি,
কাঁচালঙ্কা
ডলে চাই একটু পেঁয়াজ।
খাওয়া
শেষ হলে বসে
নিখাদ
দিনযাপন পুরোনো বা নব্য বসতের, মজে শুনি –
গুঞ্জন
ও মৌন যার খেই ওঠে শুন্য পথে আলো-পোকা ঘিরে,
ভেসে যায়,
নিমের ডালপালায় লাগে হাওয়া – কিছু বলে নাকি?
সিগ্রেট
ধরিয়ে দেখি দোকানির বড় মেয়ে বসে পরীক্ষার
পড়া তৈরি
করে, তার জননী রুটি বানায়, কাজের ছেলেটি
বসে ধোয়
এঁটো বাসনের ডাঁই …
কোথাও
ঘুমোবো, তার আগে
নির্জন
পথের ধারে পা ছড়িয়ে বেঞ্চে বসে ভালো লাগে খুব।
কোনোদিন
ভাত না খেয়ে রুটি খেলে একটু জরুরি হয় চা।
‘এখন হবে না …’ শুনে দোকানিকে পীড়াপিড়ি করি যাতে দয়া হয়,
এবং তা
হয়ও যদি পুরোনো গ্রাহক হও তুমি,
আর
যদি
থাকে বন্ধুরা,
তোলে আওয়াজ – ‘জয় হোক, প্রভুজীর জয় হোক!”
স্তিমিত
উজ্জ্বল মেঘ, নক্ষত্র মাস্তুলে মেখে নিমডালে নামে,
বেঞ্চে
বসে অদীক্ষিত অসমাপ্ত সফর পোহাই নিজেদের।
No comments:
Post a Comment