বাঁচার যুদ্ধে সেদিন
বাধ্য হয়েই তারা পিছিয়েছিল।
যেতে যেতে ... শক্তভাবে, নতুন
ঐক্যে ঘুরে দাঁড়ানোর আড়ালটা যে পেল –
প্রাচীন এক অধিত্যকার রোদে,
দেখল হঠাৎ – আগে যখন পেরিয়েছিল এ পথ,
চোখ রাখেনি শত্রু তাদের ধ্বংসের দ্রুততায়,
ছেড়ে গেছে রসদ
অরণ্যে, জনপদে! ...
সরাতে সে স্তুপ, পেল শব্দ।
উঠল মানুষ, দেখা গেল জীবন ভিতরকার।
নিজেদের, শত্রুদেরও – পরিত্যক্ত – রসদ পেতে গোঠে,
জল খেল তারাও, করল সাথে আহার।
ভরসা দিল; ব্যথার কথায় ভরল,
পিছিয়ে থাকার অনেকটা কাল, দীপ্র নিদাঘ!
গল্প শুনে, গান ... দুদলেই অবাক –
একই তো রক্তের সংরাগ!
এবার তারা একসাথে
এগোল এক ভিন্ন অভিযানে।
পেছোল বন গভীর – শত্রুতাড়ায় নয় –
আছে নাকি আরো স্বজন, নিভৃত আশ্রয়ে? –
ঋতুর গুল্মে ঢাকা তাদের বিস্মৃত সন্ধানে।
খুঁজেও পেল – বাতিল হওয়া
কারখানার এক যন্ত্রঘরে
বড় হওয়া শিশুর দলের খেলায়!
জলপ্রপাত-ঢাকা শিলার
গোপন কন্দরে!
ভাবল,
এত জরুরি শক্তি,
বাঁচার যুদ্ধে জয়ের প্রাণপাখি,
ছেড়েই গিয়েছিল?
পিছিয়ে আসাও জরুরি ছিল নাকি?
ব্যাঙ্গালোর
২.১১.২০
No comments:
Post a Comment