Thursday, July 22, 2021

ঘুণপর্বে

ঘুণপর্বে সেদিন আদবানির পাটনা প্রবেশ। 
ইউনিয়ন অফিস থেকে বেরিয়ে ভরসন্ধ্যায়
ভীড়ের রকম দেখে সতর্ক ঈষৎ এগোতেই
ছেঁকে ধরলো একদল, বল সালা জয়শ্রীরাম!

আমিও গোঁয়ার, নিজের সাধের দাড়িতে মোছলা,
বলবোনা বলতেই মাথায় মুখে কোমরে কিল
ভাঙ সাইকেলটা সালার ...তবুও তর্ক করছি
মারও খাচ্ছি আর তৃতীয় নয়নের অন্তর্ভেদে

তাকে খুঁজছি। না, এ সামনেরটি তো চাঁদবদন
শুদ্ধ হিন্দিতে বলছে, জনতার সাথে একবার!
বলেই ফেলুন, ভাই এবং বাকিরা চালাচ্ছে মার,
এরা কেউ নয়, তবে সে আছে অদূরে ওস্তাদ।

রয়েছে ভীড়ে ভীড়, মোহান্ত, নির্বিকার, মোটা বুলি
শুধু সুক্ষ্ম হাওয়া তোলার ব্যাবহারিক দক্ষতায়
সব বাগীশ্বর কর্তাদের সে পূঁজি, তাঁরা দুল
হার, বাহারি সোনার, সে আবশ্যক হুক, গুঁজি।

আমি জানতে চাইছি তার এই সংগঠনশিল্প
অবাস্তবকে হিংসক বাস্তব করে তোলার, এটা
আমার কবিতার ক্লাস, হতে পারে বিপজ্জনক।
যে ক্লাসে আছড়ে পড়ে গুজরাটের শিশুলাশ

লোকটা দশ বছরে উন্নয়নাধীশ! উত্তরণ
এটাই, সনদ জাল করে মাথায় কাটছে দেশ!
ভৃত্য কবন্ধেরা জন্মাচ্ছে পাঁচ দশকের ফাটলে,   
গরলকন্ঠী কিম্ভুতের দেহে, ধর্ষকশিশ্নময়।  

পাটনা
২৫.১০.২০০২



No comments:

Post a Comment