১
এ গ্রীষ্মে কাব্যের করি সন্ধ্যা কিছু আরো।
আর তো এসেই পড়ল পঁচিশে বৈশাখ –
হলটল পোষাবে না, বন্ধুগৃহে ডাকি
স্মৃতি সত্ত্বা জেহাদের নিভৃত সমারোহ।
লিখি? নাকি চিত্রকল্পে হই স্বপ্নপায়ী?
হতে চাই কি আনুপূর্ব বিক্ষত, বাঁচার
অপমানে? লাঞ্ছনায়? থাকি স্বনৈরাজ্যে
বিমোহিত, নাকি দ্বন্দ্বে জায়মান, স্থায়ী?
মোট কথা সঙ্ঘ হওয়া, সাহিত্যে সক্রিয়;
শুরু হবে রবীন্দ্রেই – সে বার্তা তাঁকে
দিও।
এবারো হবে লেখার স্ক্রিন বা জেরক্স;
কুমারের আঁকিবুকি, রাণার খাটুনি …
তবু নেব দায় দু’শো ফোল্ডার বেচার
–
গলিটোলার ভাষ্য দিতে মথবো কল্মষ।
২
করি যা যেটুকু পারি। সময় থাকতে
সংবাদপত্রে একটা বয়ান জরুরি।
“দেখবেন, যেন পায় জায়গা একটু”
“হ্যাঁ হ্যাঁ ওটা রেখে যান!” আদমসুমারি
করছে স্ফূরণ এক মহতী শঙ্কার –
শহরটা ধীরে ধীরে মেট্রোপলিসের
রূপ নিচ্ছে, রক্তে ভোগ-সচেতনতায়?
প্রচার প্রতিবিপ্লবে ছড়াচ্ছে হদিশ
স্বাধীনতর ভারতের – আন্তর্জাতিক
দ্বিচারী লাভের স্বৈরতান্ত্রিক ব্যুটিক। …
দিনান্তের রেলগেট, কৃষ্ণ প্রতিপদ;
সঙ্ঘবদ্ধ মাধুকরী, ব্রাত্য আমাদের –
“লোক কম, পরোয়া কি? বাঁধি কর্মসূচি
ছোটো ছোটো কাজ নিয়ে সারা বছরের।”
No comments:
Post a Comment