আঁকি যে নবীন যুগ পৃথিবীর ভালে
হের প্রভু পেন্টাগন! স্ববিনাশী কালে
তব ধার্য কৃতিক্ষেত্রে দেশে দেশে ব্যাপি
জাগিতেছি মদগর্বে প্রবল প্রতাপী
কোথাও বুদ্ধেরে দাগি রকেট-লঞ্চারে
কোথাও মসজিদ ভাঙি হিন্দুত্ব প্রসারে
মুন্ডিত মস্তকে প্রাচ্য মানুষেরে দাগি
ট্যাঙ্কপৃষ্ঠে ঘুরি জাতি-শুদ্ধতায় জাগি
কোথাও ঝটিকা-মিথ্যা হানি দিগভ্রমি’
দেশ, ও তান্ডবে ধরি ক্ষমতার জমি
ক্ষুধিত মানুষ চায় সর্বনাশি নেশা
না চায় যে তারে পথে আনা জঙ্গি পেশা
মোদের এ কাজ লাগি তুমি দেছ দায়
গণতন্ত্রে কীট হয়ে পুষ্ট করি কায়
ভীড়ে কন্ঠ দিয়া বলি, “মিথ্যা
এ ব্যসন!
আজ দেশে আবশ্যক সৈনিক শাসন!”
আর কি বা ক’ব,
মুদ্রা অস্ত্র শস্ত্র পেতে
বার্তা দেছি সাধুজনে তোমার সঙ্কেতে
বেশি দিন হাতে নাই, যাহা করিবার
সত্বর সারিতে দিও ন্যাটোর হুঙ্কার
ধনপতি শিল্পপতি বাণিজ্যপতিরে
কহিয়ো যে মোচ্ছবের স্বল্পকাল-তীরে
মোদের নজরে যেন রাখেন সদয়;
সোভিয়েত ফিরিবে কি? সদা দংশে ভয়
মরেও মরে না বাম বিধি এ কেমন?
যত মারো হাসি ওঠে কুঞ্চিত নয়ন
বামিয়ান বুদ্ধ যেন নিজ ধ্বংসে হাসে
তালিবানি শ্মশ্রু কাঁপে বিভ্রান্ত তরাসে
যেমন বাবরি নিজ ধ্বংসে সারাবেলা
স্মিত দেখে সিংহাসনী গণিতের খেলা
পেন্টাগন! মাঝে মধ্যে নিন্দিলে মোদের
ভক্ত মোরা, ভুলিব না তোমারি যন্ত্রের
মহাযজ্ঞে জাগিয়াছি নানা ধ্বজা লয়ে
কার্য সাঙ্গ হলে প্রভু ফিরায়ো আশ্রয়ে!
মার্চ ১৯৯৪/৯৫
No comments:
Post a Comment