তৃতীয়, মানে সবচে’ বড় যে নিমগাছটা দেবেন! …
দেখলাম, সত্যিই, ঠিক তার বিশাল গুঁড়ি ঘেঁষে
ছাতুর ঠেলাগাড়ির শীতল তৃপ্তি ছাড়িয়ে রাস্তা
গেছে পশ্চিমে – তিনকিমি গিয়ে ছোট কালীমন্দির
বাহারি সামিয়ানার ছায়ায়, সামনে একরাশ
বাচ্চা, পিছে মায়েরা, বাপেরা, দাদারা তারও
পিছে,
অশথমূলে বেদিতে, দেবীমন্ডপে বসে ছড়িয়ে
সেই কখন থেকে অপেক্ষা করে আছে যে আজকে
সংগঠন তৈরি হবে, ক্রমশঃ বিস্মৃত সে ভাষার,
যার দেশ এই বিভুঁয়ে, দান-জমিতে এখনও
তারা নয়, পাড়ায় তাদের বৃদ্ধ-বয়স্করা খোঁজে
…
যেমন করে মানুষ ফোটে নিজের মাতৃভাষায়
তেমন করে ফুল বা তারা নয়, ফোটে শুধু চোখ, …
পাপড়ি খুলতে খুলতে বিস্ময়ে দেখে রঙ ধরা
নিজস্ব আকাশ, নদীর চর, নিজস্ব জঙ্গলের –
ভোজপুরির অনেকটা ভিতরে ঢুকে একমুঠো
বাংলা ছড়ায় মাইক, ঝোপঝাড় টপকে উঠোনে,
রান্নাঘরে, ক্ষেতে; কেজো মানুষকে থামিয়ে রাস্তায়
…
১.৬.২২
No comments:
Post a Comment