ফালতু আবেগে সময় খুইয়ে হবে কী?
কীভাবে দিন কাটত মার্ক্সের, কীভাবে জেনি থাকতেন,
কীভাবে বাঁচল জেনিচেন বা লরা বা ইলিয়ানর
আর কীভাবে ঘর সামাল দিলেন হেলেন
এবং প্রায় প্রতিদিনই এসে এঙ্গেলস …
কী হবে এসব কথায়?
আমরা কি ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারছি পৃথিবী?
আমরা কি দেখতেও পাচ্ছি নিজের জীবনে
কেন আত্মহননের পথে গেলেন লড়াকু জেনি লঙ্গেট,
লাফার্গ দম্পতি আর শ্রমিক-মা ইলিয়ানর?
অথচ সেটাই কিন্তু প্রথম সতর্কবাণী ছিল ঘোষণাপত্রের!
লন্ডনে শীত পড়ত বড় জব্বর, এখনো পড়ে।
আর আমাদের যাপনের শীত?
স্পর্ধার রিং থেকে সরিয়ে ওরা
ভিক্ষা আর কল্যাণের সামিয়ানায়
দাঁড় করাতে পেরেছে আমাদের।
রোদ্দুরে ছায়া দেখছি –
উচ্চতায় কত ছোট হয়েছি আমরা
সোভিয়েত পড়ার পর গত বত্রিশ বছরে!
আর, প্রশ্ন সেটাও নয়!
ওদের জয়ের শীৎকারে রক্ত চুঁইছে কান দিয়ে, চোঁয়াক!
অনেকে এখনো ঋতু আর অরণ্য আর পাখিদের
ক্যালেন্ডার খুঁজছে দিনজাগায়, খুঁজুক!
মার্ক্স এগিয়ে দিচ্ছেন তাঁর রোমশ ভারি হাতটা
…
না কমরেড, নিজেই উঠব!
উঠতে যে হবেই। নইলে কী করে দেখাব
তিন সমুদ্র থেকে আকাশ অব্দি ওঠা এই প্রাচীন
উপমহাদ্বীপ
অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ক্রমশঃ।
থামে নি।
৩.৫.২২
No comments:
Post a Comment