একটি দুপুর সারা
দুপুর তোমার সাথে প্রিয়বন্ধু, লাগল এত ভালো!
আকাশ ছিল আগ্নেয়
এক তৃষার মত, জেরের মত, কাঁধের ওপর চেপে,
বিজাতীয় মন্ত্রগুপ্তি
নিয়ে ছিল মহানগর, বলতে শুধু আপন
তরুকথা, ঝর্নাকথা,
শিশুকথায় কমিয়ে নিলাম দুইটি বুকের কালো।
কফিহাউজে গেলাম তবু
অচিন ভীড়ে গল্প করার সুর হারিয়ে ফিরে
এলাম আবার তোমার
অফিস-ক্যান্টিনে শেষ গ্রাহক হয়ে দুকাপ লিকার চায়ের
অপরাহ্নের জনবিরল
অন্তরঙ্গে একে অন্যের কাব্যপ্রয়াস ছেঁচে
আজন্ম এক ব্যথার
মত অভাব পেলাম জাতিকন্ঠের – সময়বহ্নি ঘিরে।
কথায় কথায় বহুদূরের
অন্য মহানগরপ্রান্তে সাতসকালের রোদে
আমাদের এক প্রবীণ
হৃদয়সাথীর ঘরে কড়া নাড়ার গল্প করলে তুমি;
অফুরাণ সেই মিলনসময়,
অপূর্ণতার অশ্রু দিয়ে পাথর দিয়ে গড়া –
স্বদেশকথা এমনি যেন
অকালপর্বে মর্মরিয়ে ওঠে সবার বোধে।
শেষে আরেক বন্ধুকথা,
কালবোশেখির সন্ধ্যাপারে বিদায় নেবার কালে
সংগঠনের দপ্তরে তার
একাজ সেকাজ আর আমাদের প্রতীক্ষা বৃষ্টিতে
কর্মকর্ত্তা-বৈঠকে
ঘ্যাম বক্তৃতা পেশ ঘন্টাখানেক; অধৈর্য বৃষ্টিতে
একই পথের পথিক হয়েও
ছুটির মেজাজ রাখতে ঈষৎ মস্করা ফাঁকতালে।
৯.৬.২০০০
No comments:
Post a Comment