Wednesday, August 11, 2021

পানিফল

বেগুন, মুলো আর পানিফলের
                   তরকারি খেয়েছ কখনো?
          খেয়ে দেখ!
বুঝবে কী স্বাদ যোগাতে পারে মগধের হেঁসেল
তার প্রায়ান্ধকার
          খিড়কি-জানলার আলোয়
সোজাসাপ্টা, দোহারা, মজবুত আমার বেনেবৌদি।
রুটি হতে হবে নরম কিন্তু শুকনো
                                      ফুলকো দুপরত,
                   মগহি লাল গমের।
                             সময়,
                   হেমন্ত দুপুর।

বস্তুতঃ দুপুরটাই তো এ প্রদেশ
কত দুপুর!
যত সকাল,
                   যত সন্ধ্যা,
                                      যত রাত,
যত সৃষ্টি,
                   যত বর্ণালি,
রসে-বশে-হতোদ্যমে
                   যত ছোঁয়াচে অপচয়
সবই তো
                   খাড়া রোদ্দুরের ঝিম!
ছোট ছোট ছায়ার অথবা
                             ছায়াহীনতার
                                      দাগী অকুস্থল!
এখানে রহস্য নেই।
রহস্যের কাঠামো তবু এখান থেকেই
বহুবিধ কালবিগ্রহে যায় যোগান

কাঠামো কি শুধু পাথর?
                   নোনা ইঁট কিম্বা ঘুনো কাঠ?
কাঠামো কি সাইকেলের ভাঙা চাকা,
করোগেটের চালে থেকে বহুকাল যাবৎ
                   জড়িয়ে ধরেছে লাউমাচা?
কাঠামো পায়ের শক্ত গোছ,
ঊর্বর গন্ধ শরীরের,
                   চোখের স্থাপত্যছায়া চোখে।

তেমন সমঝদার পেলে পুরোনো ওস্তাদ
এখনো দেখাতে পারে যাকে বলে ওই রহস্য তৈরির
কারখানা,
শিরায় উপশিরায় জড়ান রক্তাক্ত ধুকপুকি
বেআইনি বারুদগন্ধী হাপর!
যে পথে সে যাবে তোমাকে অন্দরমহলে নিয়ে
চিনবে?
চিনে রাখতে পারবে?

সমঝদার না সরকার?
ভেবে বল।
ওই যে ওরা
সরকারের জন্য লড়ছে।
আর ওই যে ওরা
সমঝদার না পেয়ে বেচছে রক্তের কাঠামো
হোল সেল, কম্পানিফেল, জলের দরে ফুলস্কেল!
আর ওই জলেই পানিফল
রেলইয়ার্ডের আধবোজা পুকুরে ফলছে।
আমি হাত পেতে দাঁড়িয়ে
কাঁচা নেব, সেদ্ধ নেব,
শুকিয়ে গুঁড়িয়ে হালুয়াও খাওয়াতে পারি যদি আসো।

ফিরে যাওয়া তোমারই গরজ। তাই সাবধান!
কেননা সেই তো রহস্যসুত্র।
হৃদয় যে ভাঙতে পারে, সে পথ পায় না।
যে যায়, সে ভাঙতেই পারে না।

৪.১১.২০০৩



No comments:

Post a Comment