সেভাবে মুখোমুখি কখনো হইনি।
অথচ সেই অভিন্ন কিশোরকাল থেকে এক
ফিনফিনে
অপরিচয়ের
এপাশে আমরা যেমন
ওপাশে তারা এবং সেও
বড় হয়ে উঠতে উঠতে একদিন
বেশক’টি বছর,
চেতনার দু’একটি দীক্ষণপর্ব পেরিয়ে
দেখলাম
আরে!
শিক্ষকসঙ্ঘে প্রতিনিধি!
হাতড়াচ্ছে কি জীবন, সমাজ – আমাদেরই মত?
আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারব না যে কিভাবে এ আমার
বড় ব্যক্তিগত ক্ষতি।
দুই দশকের ব্যস্ততায় ভেবে এসেছি
বন্ধুত্ব হবেই, আজ নয় তো কাল।
শৈশবের দোহাই – আলবাৎ তুমুল করে
ছাড়ব।
ইতিহাস ও কবিতায়
খুব বেশি হলে এটুকুই তো তফাৎ দেখাবে যেমন
আস্কারি সাহেব ও তাঁর ছাগল!
পাটলিপুত্র ও জক্কনপুর!
দুদিনের কলকাতাবাসে
সুপুরির ছায়ায় ভাবছিলাম!
ভাবছিলাম যে বিহার আমার গানের মুখড়া
অন্তরাতে আসে হিন্দ
বাংলায় সঞ্চারিতে যাই –
সেই সঞ্চারিতেই ঢুকল আততায়ী,
ছিটিয়ে দিল রক্তের ঝলক
পাপিয়া, পাপিয়া ঘোষ।
৭.১২.২০০৫
No comments:
Post a Comment