বিশ শতকের শেষ দশকে
ঘড়ির পেটে ঢুকল ইঁদুর –
শতকগড়া দেশে শীতের
তুষারমাখা ট্যাঙ্কে চড়ে
বিয়ারখেকোর হম্বিতম্বি;
ভিতরফাটা কালোয়াতির
যন্তরটাই ভাগল উড়ে
ফাটকাবাজের কোলে – উদোম
নাচের বাজল বেখাপ্পা সুর
স্বপ্নবোনা কালের ছকে
বিশ শতকের শেষ দশকে
শতক ভাঙার উল্টো গুনতি
হাটে-মাঠে-কারখানাতে,
বন্ধ তালায়, পায়ের ছালায়,
ভাঙা ঘড়ির চাবি ধরে
ভ্যাবাচ্যাকা আস্ফালনে,
সিঁধেল চোরের হঠাৎ পাওয়া
কাপ্তেনিতে বংশবৃদ্ধি;
গিরগিটিরও কবে কমতি –
বাইক দাঁড়াল পাড়ার রকে
বিশ শতকের শেষ দশকে
দেশপ্রতিমার মুখের বেহাল,
মাটি-ফাটা, কঞ্চি-ওঠা –
কঞ্চি-মুখে অন্ধ বারুদ,
মাটির শিরায় ঘুণের জিগির,
মন্ত্রীসভা, ধর্মসভার
তেল যোগাচ্ছে মানুষে আর
ডলারভেঁপুর তালে মাথায়
টহল দিচ্ছে নেকড়ের পাল,
মাপছে হলুদ, বাঁচার নখে
বিশ শতকের শেষ দশকে
হারাধনের ছেলেমেয়ের
একটি ঘোরে ম্যানহাটানে
একটি যাওয়ার নেশায় ভোগে
একটি ফিল্মে খোঁড়ে কপাল
একটি ধরে রংবাজি লাইন
একটি খোলে এনজিও, তার
সরকারি দান চুরির লোভে;
বাকির চাউনি মস্ত ফেলের –
কেউ কারো নয় টাকার রোখে
বিশ শতকের শেষ দশকে
ঘরের ভিতর ঘরে রঙিন
ছবি চলে। ছবি গেলায়
মেধাজ্বরের ভার্চুয়ালে
আনন্দযন্ত্রণা মাখা
উত্তেজনার মকরধ্বজ।
মাটি কুন্ঠা, শিকড় অসুখ,
গৃহস্থ চায় বিশ্বপ্রবাস
ঘরের দেশের ডুবিয়ে ঋণ –
বুকের মধ্যে কুকুর ধোঁকে
বিশ শতকের শেষ দশকে
একবিংশের কুচকাওয়াজে
আর বছরের হালখাতাটাই
খুলে তারিখ লিখে বলি
কাজী! দেখ তুলছে দাঁড়া
ভেদের মন্ত্র, মেদের চুক্তি
তোমার চাবুক তুমি শানাও
আমি বরং নোনা খোঁচাই
কোনঠাসানি ইঁটের ভাঁজের –
কোনে আটকা পড়ছি শখে
২৫.১০.২০০৩
No comments:
Post a Comment