কড়া নড়ে উঠল আবার
এবং আবার আরো জোরে,
ভালোবাসার চোখের
কালি
স্বপ্নফাঁদে কাঁপল
ঘরে।
স্বপ্নফাঁদের দাঁতে
শহর
পাড়াপড়শির চুপ জানলা
উৎকর্ণ; জিভে রাতের
নির্জনতা – দূরপাল্লা।
এবার ব্যাকূল দয়াভিক্ষা
অশ্লীল মধু-সম্বোধনে,
মাতাল টনক সুতো ছাড়ে
দুনিয়াদারির প্রসাদগুণে।
দরজা যার সেও জানে
দরজা তাকে খুলতে
হবে,
মৃত্যু অব্দি প্রতি
রাতে
এবং তাকে মরতে হবে।
মরতে হবে। যে করে
হোক
মরার আগে চোখের অসাড়
হিংসাটা রোদচশমা
পরে
ঢেকে রাখবে – পরিণীতার
সুখী ছবি গাঁয়ে পাঠাবে,
সহকর্মীর রস-তামাশা
সবার মত মাখবে গালে,
খুঁটবে লজ্জা পাওয়ার
ভাষা।
কাল পরশু বোনটি এলে
প্রয়োজন নেই ফাঁদ
চেনানোর,
দিদিকে তার নষ্ট
বুঝেই
খুঁজুক রক্তে মাটির
জোর।
দরজা বন্ধ রাখলেই
বা
পিছনে কোন জীবন অথৈ?
পিছু হটা, পিছু হটা,
পিঠ ঠেকাবে, দেয়ালও
নেই!
পিছু হটা ভিতরপানের
খিড়কি খুলে জন্মভিতে,
পোড়া আকাশ, পোড়া
মাটি,
পোড়া মেঘের গ্রীষ্মেশীতে।
তাতেই যদি ফেরা তবে
বাপ কেন গরমি খেয়ে
বলেছিল গাঁ-সমাজে,
“দূর শহরে আমার মেয়ে
চাকরি করে …” বাপকে তার
ঘুণো কপাট দেখাবে
কে?
দরজা খোলে উচ্ছন্নের,
ঘুণের দাঁড়া নুনে
ঢেকে।
শহরচারী যৌবপশুর
প্রেম ও পকেটখর্চা
মেটায়,
মিথ্যাচারেই সর্বসত্ত্বা
দিয়ে বোধের ঝাপসা
ভেলায়
দেখে তার তালবনে
ঝিম
উধাও সকাল; বাকি
দুপুর
বিষগর্ভ, ট্রাকের
চাকা,
পোস্টমর্টেম, শেয়ালকুকুর।
কড়া নড়ে উঠল আবার
এবং আবার …
৫.৯.১৯৯৬
No comments:
Post a Comment