“খোদ রাজধানীতে দ্যাখ, এবার তাল ঠুকে তবে
ঘড়ি ধরে সকাল ছটায়
শুরু হবে
লঙ্কাকান্ড, আটটায়
শেষ;
সামাজিক ন্যায়ের
গুষ্টি কাঁপবে নির্নিমেষ!
মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে
একটু দিল্লাগি,
মেনে নিত, এমনই বা
কি?
পিতৃধন্য এপাড়ার
যত স্বজাতি-দুলাল,
জ্বালিয়ে করব ছাই
ওপাড়ার পুরো বস্তি কাল!”
সকাল ন’টায়
ধোঁয়া ছাইয়ের চালচিত্রে
আকাশ কিছু গুলি খায়,
আর্ত্ত হাম্বা রবে
ছুটে যায় গরু।
বাভনপাড়ার
নালার উত্তর দিকে
গলি গেছে সরু।
মহানন্দে বাড়ি ফেরে
দল কচিকাঁচাদের,
“একে বলে প্ল্যানমাফিক;
হোলির গন্ডগোলে ফের …
কী বলেন অখিলেশ ভাইয়া,
হবে নাকি?”
“তোরা ছোট, বাড়ি যা এবার, আমাদের
কিছু কাজ বাকি।
সময়ে সইবে সব করম।”
-
করম?
-
বুঝবি, বুঝবি
সংসার ধরম!
সন্ধ্যে ছটা।
দগ্ধ কালো অন্ধকারে
একা,
বসতির ঋণাঞ্জলি,
বজরঙ্গবলি,
নিঃসহায় যেন ‘ইউরেকা’
আর্কিমেডিসের মত
সন্তর্পণে বলে স্থির,
নৈঃশব্দের কলরোলে।
একশো চুয়াল্লিশে
বেশি ঘুরোনা মায়ের ছা
শুয়ে পড় প্রথা মত কোলে।
বলো, সিনেমা, সিনেমা!
সাধ দিলি, সাধন দিবিনে
মা?
২৬.১২.২০০৪
No comments:
Post a Comment