দেখতে দেখতে জলেশ্বর
বড় বুড়ো হয়ে গেল!
জলেশ্বর কোন্ জাত,
কোন্ ক্লাশে ফেল্? …
দোতলার ফ্ল্যাটঘরে
রাতে সদ্যমৃতদার
ভটচায্বাবু, তাঁর
যবন জামাতা আর
খিরিস্তান এক নিঝুম
পরান সহচর
এবং আমি, পাড়াতুতো
তাঁর বৌয়ের দেওর –
যদি চাও চিবোতে এই
গুলতানির মেঘৌষধি, বসো!
প্যাকেটটা নাচিও
না; ধোঁয়ামৃত মো’কে দাও, নিজ ওষ্ঠে ঠোঁসো।
অটোয় চালকের ডানদিকে,
একপাছা বসে, নধর
জিওগ্রাফি দেখি নিজের,
আয়নায় কেমন ‘জলেশ্বর! জলেশ্বর!
কেমন ঈশ্বর তুমি
গুরু?
কেন এত সরে যাচ্ছে
জলের ডমরু?’
চরের জমিতে মৌরসিপাট্টার
আধমাইলটাক ফলন পেরিয়ে তবে
নদী – মানে জল
বিদায় – মানে আগুন
ফিরে আসা – মানে ভাষা, পঞ্চবিধ শিকড় সৌরভে …
এবছরও মালগাড়ির গার্ডসাহেবের
সাথে হল না ইয়ারি যে তাঁর বারান্দায় বেশ
কেদারায় বসে পান
করি তিনরাত এপার ওপার এই দেশ
কোনো বার্জে ব্যবস্থা
হল না, করি গাঙ্গেয় সফর
সঙ্গম থেকে
সাগর
শুশুকের ঘাই দেখতে
দেখতে!
দেখতে দেখতে!
মানে এই তো সেদিন
কাদাজল ঠেঙিয়ে জন্ম
বন্ধুদের প্রাণে,
চায়ের দোকানে
লড়তে পাওয়া ভালোবাসা,
বাঁধতে পাওয়া ঘর, স্বপ্নাক্ষর …
বুড়ো হয়ে গেল জলেশ্বর।
No comments:
Post a Comment