প্রেমচন্দকে আমি বাংলার করে নিয়েছি, যেমন শরতকে
শুধু হিন্দি কেন, ভারতের সব ভাষা নিজের করে নিয়েছে।
এবং করতে কোনো অনুবাদের সাহায্য লাগেনি; অবশ্য
আমি নিজে যে আজন্ম ধূর বিহারি, সেটাই কারণ। আর
বাংলার করে নেওয়া মানে তো বাংলার চোখে তাঁকে দেখা!
অনেকে শরত বাংলার বলে পেছন বাজিয়ে ঢাক পেটায়,
অনেকে প্রেমচন্দ হিন্দির বলে ঢোল – ওই একই ভাবে!
বাংলা তো পুরো দেশেরই নতুন চেতনার প্রথম রণভেরী!
হিন্দিই বা কী? বা বলা যায়, হিন্দভী, হিন্দি-উর্দু স্রোতধারা,
সে তো বাংলার মাটিকেই দিয়েছিল তার অনির্বাণ শহীদ!
ঠিক যে সময় বিদ্যাসাগর নামের সূর্যটা অদূরে জ্বলছিল!
প্রেমচন্দকে বাংলার করেছি নিজের গরজে, কেননা রোজ
দরকার পড়ে আমার তাঁর গড়া মানুষগুলোর সাথে আলাপ,
ঘাম-ধুলোয় মজে সেঁটে সেঁটে বসে ধার করা রক্তের গরম,
তাত লাগে ওই ছড়ানো গাঙ্গেয় নিসর্গের, ঈষৎ কম সবুজ,
লাভবান হই জমিদার, কুলীন ভদ্দরলোক, শহুরে বজ্জাত-
গুলোকে প্রতিদিন গাঁথতে মাথায়, যেমন ‘হালদার গোষ্ঠি’
কবির। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, তিনটেতেই যে গেড়ে আছি কনুই!
ব্যাঙ্গালোর
৩১.৭.২১
No comments:
Post a Comment