সত্যি
যদি বল
এমন নয়
যে মন ভালো থাকে সব সময়
নদীরই
তো মন ভাল নেই অনেক বছর হল
জল, গভীরতা
… কী বাদ রাখছি কাড়তে …
কাজের
জায়গাতেও
কোনোদিন
এমন হয় যে সবাই হাজির
কারোর
যাওয়ার ছিল না কোথাও
অথচ তবুও
কথায় সুর ধরে না মাতানো
এমনকি
ডাইরিরও ধর মন রইল না ভালো
পাতাটা
সাদাই বন্ধ হল রাতে
অটোচালক
বিকেলে থুথু ফেলে বলেছিল
কেমন হয়ে
যাচ্ছে দুনিয়া দেখছেন?
বস্তুতঃ
শুধু পেটের দায়টাই বিমর্ষ আকাশে
বাধ্যতার
এক বিরক্তমুখো বুড়ো হয়ে
তাও সবার
আগে ভোরবেলায়
আগুন ঢোকায়
উনুনের তলপেটে আর ঠিক তখনই
ইচ্ছে
করে তার মাথায় ছুঁড়ে মারে সাইকেলের ছেলেটি
সুতোয়
বাঁধা খবরের কাগজ –
যদি এমন
হত যে পাশ থেকে বুড়োর কয়লা ভাঙা বৌ
রে রে
করত, মারিস কেন রে মাথায়? লাগে না?
আর বুড়ো,
কাগজটা বিস্কুটের বয়ামের মাঝে গুঁজে
বলত, হোঃ,
আসল মার তো এর পাতাগুলোয়! …?
সেটুকুও
যে হয় না একদিন!
ঠিক তখনই,
সূর্য
ওঠার পুরো অক্ষাংশ-রেখা ভরে মানুষের বসতিগুলোয়
মাটির
নিচে জল খলবলিয়ে উঠছে ওপরের টানে
লেজে ঈশ্বরীয়
আভা নাচিয়ে কাঠবেড়ালি
ভাঙা কার্ণিশে
খুঁজছে খাদ্য – কী দেখছে বারবার
চমকে চমকে?
এত বিস্ময়
এত আবিষ্কারের সতর্কতায় এখনো পূর্ণ ওর জগত!
১০.১২.২১
No comments:
Post a Comment