মহীরুহ টাইপের উঁচু গাছ আর নেই, বৃক্ষও লোপাট,
এখন সব তন্বী পুষ্পতরু, পাতাবাহার বা গুল্ম যাতে
উড়ালপুলে এবং মেট্রোর আকাশপথে ব্যাঘাত না ঘটে।
এমনিতেও গড় উচ্চতা কমেছে মানুষের – আশাব্যঞ্জক
তথ্য বলছে, যেমন উন্নয়নী প্রমোদতরণী ফস্কে যাওয়া
মানুষ-মানুষির জীবনসময় কমেছে তিনটে দশকে।
কিছুদিনে দু’একশো টাকায় সেন্সর-চিপ পাব একমুঠো,
চিরুনি, ঘড়ি, নেলকাটার বা আরো সমস্তকিছুতে সাঁটতে
হারাতে থাকে যা প্রতিনিয়ত – এবং হারালেই সেলফোনে
নম্বর টিপে বাজাব রিংটোন – বেজে উঠবে নেলকাটার,
ঘড়ি, চিরুনি, টিভির রিমোট এবং এখন, হয়ত মাস্কও –
সম্মোহক টুংটাংএ …আরো সহজ হবে সময়ের সাথে চলা।
এখনো জাগে কিনা আকাশ, পাখি, মেঘ, প্রায়ান্ধকার অবেলা
বিশেষ ভাবি না কবিতায়। প্রতিবেশি জুয়া-ঠেকের মালিক
আধেক বৌদ্ধ আধেক বৈষ্ণব – বন্দুক, গুন্ডামি, সম্পত্তি তার
তিনদশকে জমিয়েছে সুবচন এবং আখাড়া প্রণয়ন;
বরং বুদ্ধচর্চা করি কখনো সখনো পরবের পাড়াতুতো
অভিভাবক-প্রণামে, ভক্তিলাস্যে ডিস্কোভজন শুনি মাইকে।
১৯.২.২০২২
No comments:
Post a Comment