হ্যাঁ রে ভাই ! ডাক্তারবাবু যেমন বলেছিলেন তেমনই, সমতল বিছানায় শোবার চেষ্টা করছিলাম । খাট তো একটাই, তাতে তিনজন বা বলতে পারিস আড়াইজন শুই – আমি, আমার স্ত্রী আর মাঝখানে নাতি । নীচে খাওয়াদাওয়ার পর জায়গা হলে, তোলা বিছানা পেতে আমার ছেলে আর তার বৌ শোয় ।
হ্যাঁ,
সে কথাই বলছি । বালিশ তো সরিয়েই দিলাম এক্কেবারে । তারপরও শুতে গিয়ে দেখি উঁচুনীচু
লাগছে । তোষক সরিয়ে দেখি এ সপ্তাহের খবরের কাগজগুলো রাখা । আবার উল্টোদিকে দুটো
মশারী । সেসব সরালাম । সমতল কি আর হয় । তোষকে পুরোনো তুলোর গাঁট পাকিয়ে গেছে ।
খাটটা কবেকার ! ভালো খাট, কিন্তু ওই দুটো করে ইঁট দুদিকে রেখে নীচে পুরো ভাঁড়ার আর
হেঁসেল ঢোকাবার ব্যবস্থা করতে হয়েছে । তবু যাহোক, শেষে শুলাম । চিৎ হয়ে শোবার
অভ্যেস তো নেই । অস্বস্তি হয় ।
শুয়েছি,
চোখ বন্ধ করে ঘুম আনার চেষ্টা করছি । ঠিক তখনই পেটের ওপর ধপ্ ! নাতিমশাই ঘোড়ায়
চড়লেন একেবারে রেকাব থেকে লাফিয়ে । পেটটা যেন ফেটে যাবে আর মচকে যাওয়ার যন্ত্রণা
শুরু হল ! গোঁওও করে ককিয়ে কাত হওয়ার চেষ্টা করলাম কোনোমতে । টাল সামলাতে না পেরে
নাতি বেচারা পড়ল নীচে । তখনও নীচে বিছানা হয়নি । শানের মেঝেতে এতো জোরে লাগলো
শিশুটার ! কয়েকটা বাঁকা কথাও শুনতে হল ।
তাই
এসেছি তোর ওষুধের দোকানে । কতবার যাবো ডাক্তারের কাছে । বলছিলাম, স্পন্ডিলাইটিসের
ব্যাথা বাড়লে যে ওষুধটা খেতে বলেছেন ডাক্তারবাবু সেটা কি পেটের এই মচকে যাওয়া
যন্ত্রণাতেও কাজও করে ?
২৭–৫-১৭
No comments:
Post a Comment