এখানে
সামনের বাড়িতে সুবোধবাবু নেই।
এখানে
সামনে বলতে কিচ্ছু নেই,
নিচে শহর ওপরে আকাশ,
পাশের
দেয়ালে সুবোধবাবুর বড় ছেলে
নিজের
ঘরে পেরেক ঠুকছেন।
সুবোধবাবু
যে ছিলেন,
সুবোধবাবু
অর্থে পাড়ার
রাস্তার জন্য পৌরদপ্তরে
ছিলেন
কি চিঠি লেখালিখি?
নতুন
পাম্প-হাউজের জন্য
ওয়াটারবোর্ডে ধরাধরি?
এলাকার
বিধায়ককে পেলে ভাদ্রের জলমগ্ন রাস্তায়
মুখের
শালাটাকে জামাইবাবু করে বলা –
“একটু এদিকটাও স্যার! দেখে যান …?”
নাকি
সুবোধবাবু অর্থে পাড়ার
বাতিল কমিটিটাকে নতুন
ছেলেদের নিয়ে, ছিলেন গড়ে তোলা?
সংস্কৃতি
বারোমাস, হৃদ্যতা জমজমাট
রুগীর
জন্য হাসপাতালে সারারাত
পালা করে স্বেচ্ছাসেবক
মৃতের
জন্য স্মশানযাত্রীদল?
সুবোধবাবু
অর্থে ছিলেন
নাকি
শুধু সুবোধবাবু
খিটখিটে
একান্তবাসী,
ঝগড়ুটে
এক পরিবার?
অর্থে
দুই আইবুড়ো মেয়ের গুরুভার
ছেলের
বখে যাওয়া
রাত্রে
মাতাল হুমকি – কান্না ও আঁশটে সকাল;
ইঁট
বেছানো জলকাদায়
পা সামলে
সমবায়দায়ে
ব্যর্থ কড়া নাড়া –
“সুবোধবাবু
আছেন?”
সুবোধবাবু
যে ছিলেন
তিনি
যে শুধু সুবোধবাবু ছিলেন না
তা আজ
অনেকরকমভাবে বোঝা যায়।
অনেকরকমভাবে
বোঝা যায়
হয়ত
স্বাধীনতার এই স্বর্ণজয়ন্তীরও
প্রস্তুতি
ছিল
আবহাওয়ার
ভিতরে অন্য এক আবহাওয়ায়।
No comments:
Post a Comment