Sunday, May 9, 2021

একটি গানের সাথে পরিচয়

আমি চঞ্চল
শোনালেন দেবব্রত, তাই বলি
                             দেবব্রতেরই গান।

তোমার আবহ থেকে অনেক দূরে কবি
সারাদিন এক বন্ধ হলঘরে গোলামিতে কাটত।
নিজের, পরিবারের,  পার্টির কর্মী এবং
                             নবজাত পত্রিকার রসদ জোটাতাম।সিগারেট কিনতে বেরিয়ে
সেদিন আকাশের দিকে গুনগুনিয়ে উঠলাম
আমি চঞ্চল; আর মহাবিশ্বের কোনো অঞ্চল থেকে, সবুজ
পৃথিবীকে দেখতে পেলাম ধ্বংস ও স্বপ্ন নিয়ে ঘুরছে।
রাতে,
চোখ থেকে ঘুম তাড়াতে মাথার চুলগুলো খামচে ধরতাম।
সামনে সদ্য শুরু করা ক্যাপিটাল ইতিহাসের বীজগণিত
সেদিন মাথা ভার হয়ে আসতে গুনগুনিয়ে উঠলাম
আমি চঞ্চল

আমি দেবব্রত নই। গানটা শোনার পর
অন্ধকার রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চাইলাম
ফুসফুস নিংড়ে পৌঁছতে ব্যাকুল বাঁশরিতে
অথবা তরুমূলে রসের মত
সঞ্চারিত হতে চাইলাম আমি উন্মনা
কি করে হয়
যে আমার ফিরে পাওয়া গান আমি গাইব না?

ভীড়ে ভরা বাড়ি
অবসরে শহরের বাইরে চলে গেলাম
                             সাইকেলটা উঠিয়ে
নির্জন হাইওয়ে বা কোনো টিলার পিছনে।
(যেদিন পুরো গানটা গাইতে পারলাম, ওঃ আমার মনে আছে
অরণ্যের মত দুলে উঠলাম একটিবার।)

মাঝে মধ্যে ঘিরে ধরত ওরা।
পুরোনো নরকের বিষন্ন সঙ্গীরা, হিতাকাঙ্খী জ্যাঠাদের দল।
সেদিন আমি কলার চেপে হিসহিসিয়ে উঠলাম
ফেরাবি শালা পঁচিশটা বছর?
সাথে চল্‌, নয়ত জাহান্নামে যা! তবে ইত্‌মিনানে থাক্‌,
                                                ফিরে আসব!

ডাইরির পাতায় লেখা আছে
                             …… ধন্যবাদ কবি ও গায়ক!
কোনোদিন এক মহাকাশযানের গায়ে এঁকে দেব
আমি চঞ্চল, আমি সুদূরের পিয়াসী

 ১৯৯৫



No comments:

Post a Comment