মাথার ওপর
সিঁদুর ঘষা নীলচে
ধূসর সেই চর।
নিচে চারপাশে
শহরটার ঘরে ফেরার
জোনাকি।
নদীটা ঠিক কোনদিকে
কে জানে!
সকালে এসেছিলাম,
এখন এই সন্ধ্যায়
ফিরে যাব।
রাতে?
না ভাই, থাকতে পারব
না।
কয়েকজন যাত্রী একের
পর এক
কয়েকটি শহরের নাম
বলে জানতে চাইল
সামনের বাসগুলো যাবে
কিনা
সেসব শহরে
কয়েকজন খালাসী চিৎকার
করে জানাল
আরো কয়েকটি শহর,
বসতের নাম …
কত জায়গায় একসাথে
সকালে পৌঁছোব?
জানি
সারারাত ভারতবর্ষই
পথ হবে, তবু
না ভাই, সম্ভব নয়।
পরের বার দেখা যাবে।
পৃথিবী?
তারও পরের বার
দেখা যাবে।
চিনতে ভুল হবে না
একটুও
এই বাসস্ট্যান্ড,
ডাক
সিঁদুর ঘষা নীলচে
ধূসর চর মাথার ওপর
নিচে চারপাশে শহরের
ঘরে ফেরার জোনাকি …
নদীও, ঠিক কোনদিকে
খুঁজে বার করব সেবার।
আপাততঃ
নিজের বাসটা চিনে
উঠি
জানালার কাঁচ সরাই।
বাইরে
তিনটে লোকসভা ক্ষেত্রের
অন্তরাল
পেরিয়ে আমার
সংগঠন দপ্তরের টেবিলটা
জেগে ওঠে –
চেয়ারে,
টুলে,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে সাথীরা,
সামনে প্রিয় নেতা
আমাদের সবাইকার,
টাইপরাইটার,
ব্যানারের ডান্ডা,
প্ল্যাকার্ড, পোস্টার,
আর আগামী প্রোগ্রামের
নোটিশ বোর্ড।
No comments:
Post a Comment