মায়াকভস্কি,
ভাপসারভ,
তুমি!
কব্জি বলশেভিক,
দেয়ালে
শাবল,
কবিতায় সংগঠন।
তোমার ওই মহানগর –
কলকাতা
যার একটি মানুষের হাত, কবি
নাজিম
নক্ষত্র ঠেলে সরিয়ে চেয়েছিলেন
যার পথযুদ্ধে কিংবদন্তী কিশোর
পড়ার কেরোসিন চেয়ে
বুক চিতিয়ে সার্জেন্টের
রিভলবারটা
নস্যাৎ করেছিল
এবং
যার গোপন পল্লব আজো শ্রেণীঘৃণায়
সতেজ।
যেতে পড়ে জসিডি।
এই
শ্রাবণে
ট্রেনে, প্ল্যাটফর্মে, বাসে
গিজগিজ করে ঈশ্বরের
ভীড়।
ভীড় বাড়ে প্রতিবছর
দুই
গোলার্দ্ধের
মানুষের লাঞ্ছনার সবকটি পীঠস্থানে
আর ঈশ্বরেরা টের পায়
তাদের
মৃত্যুভয়।
………………………
…………………………
সীতারামপুরের
লাইনসংযোগের খটরমটরে ছেলেটা
কামরায়
উঠে আসে।
এদিকে ধানবাদ, চন্দ্রপুরা, বোকারো
ওদিকে
টাটা, রাউরকেল্লা, সামনে দুর্গাপুর …
আর বড় আন্দোলনগুলির
কাজ জারি রেখেও ভাবতে হয়
বন্ধ কলকারখানার
সমস্যাটা দাড়ি নয় দু-দশ দিনের;
টিকিটের কোণা দিয়ে সে গলার ঘামাচি
চুলকায়।
একটা সিগারেটে জিরিয়ে
হ্যান্ডবিল বিলি করতে শুরু করে।
………………………
…………………………
উনিশশো নব্বই – চুরানব্বই।
আমরা প্রহসনে ট্র্যাজেডী বাঁচতে শিখছি।
তবু বলা যায় চার বছরে দুনিয়ার
বিশ্বাসযোগ্যতা
বেড়েছে বই কমেনি
………………………
…………………………
চৌষট্টিতে কোনদিকে যেতে সুকান্ত?
আর সাতষট্টিতে?
………………………
…………………………
আমি পাটনার মানুষ।
তাও তো ইদানিং
বেশ কটি অজুহাত পাই
হুগলির
দুপুরে বসবার,
বেশ কটি তর্কাতর্কি –
সরকারে
বামফ্রন্ট থাকার মদত
কোথায়
কতটুকু
পাওয়া না পাওয়ার
আর ভালো লাগে যখন
দিল্লীতে
লালকিলার পিছনে আমরা নিজেদের
মানে
বিহারের
ক্যাম্পে গিয়ে ঢুকি
ব্যাগ থেকে ডাইরি হাতড়িয়ে
বাংলার ক্যাম্পে গিয়ে খবর পাই
তুমি কোথাও বেরিয়েছ।
পরের দিন
কাঁধে পতাকা ওঠানো;
ভারতবর্ষের বর্তমান
তোমার
চিরকাল।
No comments:
Post a Comment