এসবের পরেও একটা দিন আসবে আশার দিন আমরা সবাই চোখ পেতে আছি।
মৃতদেহ তলিয়ে যাবে অতলে বালি জল ও দৃষ্টির, বৃষ্টিই সাহায্য করবে।
এ দু’বছর বসন্তে ফুল ফোটা, গ্রীষ্মে ফল পাকা, শষ্যের বাড় বর্ষায় হেমন্তে বন্ধ থাকে নি।
তারা স্মৃতিতে উজ্জ্বল থাকবে শেষনিঃশ্বাস নিতে চাওয়া সেসব প্রাণের যারা পারল না।
কেননা সেটাই শেষ বার্তা পৃথিবীর যা তারা সঙ্গে করে নিয়ে গেল।
যে বার্তা পৃথিবী এত অত্যাচার সয়েও দিচ্ছে এখনও এই তো এবারও।
আজ সকালে আকাশে মেঘের দীর্ঘ আঁচড় কিছু ছিল কালকের ঝড়ের পর।
পরশু সন্ধ্যায় পুঞ্জিভূত মেঘের ওপরে খেলছিল বর্ণালি।
এসব কি রূপকথা? মনে হয়। এক তীব্র শ্রমযাপনে রত মানুষ ও তার বিজ্ঞান।
এবং তার লড়াই, সময়ের ঘাড়ের কেশর টেনে পেটে গোড়ালি বিঁধিয়ে বাগে আনার।
সে মানুষদেরকে, সে লড়াইকে পিঠ চাপড়ে মালা পরিয়ে প্রতারণা করে এক তন্ত্র।
বস্তুতঃ মানুষ-খেকো তার মন্ত্র সন্ত্রস্ত – সময়ের বহ্নিমান চোখ, মুখের ফেনার দিকে তাকিয়ে।
দিনগুলো টের পাওয়াচ্ছে যুদ্ধে যেমন, প্রাণ অথবা জীবিকা হারিয়েও কিসে প্রাসঙ্গিক মানুষ।
এবং কত প্রতারক, মানুষ শব্দটির মায়ায়-মোহে মোক্ষে-দ্রোহে আপ্লুতের শীলিত হুঁশ, বেহুঁশ।
No comments:
Post a Comment