আপনি মানে রাত – ৪৭, শ্রীকৃষ্ণনগর।
দেয়ালে বন্যার দাগ।
দরজায় চাপা কন্ঠস্বর।
বিছানা ছেড়ে চেয়ারে;
তাও বসা, মুখটা ঘুরিয়ে!
তিনটে অব্দি প্রশ্নে
প্রশ্নে আমায় বকানো খুঁচিয়ে।
ঘরে তালা দিয়ে, অন্ধকারে
হেঁটে পৌঁছোনো স্টেশন …
চা-সিগারেটে পাঠোদ্ধার
করা শিল্পের সমন!
ভোরে ফেরা … এভাবেই কত দিন গেছে বলুন তো!
আপনি শুনতেন; বলতাম,
যেনবা কালপক্ক!
একাগ্র শ্রোতা যেমন,
চেয়ে পড়তেন সব বই।
টিউশনে ঝুপড়ির সব্জিরুটি;
রাত জাগা অথৈ
–
বিজ্ঞানের কৃতি ছাত্র,
তৈরি হচ্ছিলেন কবিতায়!
জেদ ছিল মৈথিলিতে
লেখা, … লাইব্রেরি মাঠটায়
শোনালেন বিকেলে,
বললেন, এবার যাবো গ্রামে,
ভাষার সৌকর্য খুঁজব
রক্তপতাকার সংগ্রামে …
·
তিন দশক পর কে যেন
বলল ঝা-জি শহরে।
ভালো শুনতে পাচ্ছিলাম
না তার পাঠানো নম্বরে!
কবে বই, কী কী বই,
পুরষ্কার …?
সংক্ষিপ্ত
অসুখে
মৃত্যুসংবাদের অনুসঙ্গে
জানলাম ফেসবুকে!
……
একটা বই আমার, ফেরান
নি। ভুলে যাবো কেন?
বরং, দেন নি যে!
– জুড়ল আপনার
কাব্যসংগ্রহও।
৮.৮.২৪/১৭.৩.২৫
No comments:
Post a Comment