একটা লোক গান ধুয়ে
ধুয়ে
তার সুরটা বার করছে।
সে জানে, যে ঝর্ণার
জলে সে গানটা ধুচ্ছে
অনেক আগে একজন সে-ঝর্ণার
জলে কান পেতে,
জলের সুরটা বার করেছিল,
পাহাড়ের প্রতিধ্বনি, পাখিদের সাড়া আর
গাছে হাওয়ার সরসরানি ছাড়িয়ে।
তবে সে-গান তৈরি
হয়েছিল
যেটা সে ধুচ্ছে এখন …।
বস্তুতঃ সে-ও যে
ধুচ্ছে, ঝর্ণার
স্রোতে ভেসে যাওয়া
গানের কথাগুলোয়
দিব্যি দেখতে পাচ্ছে পাহাড়ের প্রতিধ্বনি,
পাখিদের সাড়া, সরসরানি, গাছে হাওয়ার, কিন্তু
শব্দ হয়ে, কাজ আর ঘাম হয়ে …।
শুধু সুরটা পাওয়ার
পর নিয়ে
সে যে নিজের ভাষাঞ্চলে
ফিরবে
সেখানেও সেখানকার
প্রকৃতির ধ্বনি ওভাবেই
শব্দ হয়ে, কাজ, ঘাম
হয়ে আছে
এই সুরটা তাতে বসালে
সে শব্দ, সে কাজ, সে ঘাম
এক নতুন রূপ পাবে,
শক্তি পাবে।
“কে বলে রূপারোপে শক্তি নেই,
সুরের ভাষান্তরে মুক্তি নেই,
ইতিহাসে যুক্তি নেই?”
সে আকাশকে শোনালো,
“তবে হ্যাঁ এমন হতে হবে যেন
সে-নতুন ভাষার শব্দ, কাজ, ঘাম
নিজের করে নেয় বাইরে থেকে আসা সুরটা,
তাই তো?”
আকাশ ঝিকিয়ে সায়
দিল।
১২.৮.২৪
No comments:
Post a Comment