কলমা পড়িনি
কোরাণের আয়ত ঘাঁটিনি,
কিন্তু কলিমের বৌএর হাতের
অন্ন খেয়েছি, ঘুমিয়েছি
তেগ আলির ঘরে
জহিরের বোনেদের সাথে
ঈদের চাঁদ খুঁজেছি আকাশে
এমনকি বৌ যখন
মাজারের চাদরে গুঁজেছে
নাম লেখা কাগজ, আমি চাদরটা
আরেকটু তুলে দেখেছি,
ব্যথার গোপন দুনিয়া …
তোমরা আমার
মুসলমান হওয়া আটকাবে?
কী দুর্ভাগ্য তোমাদের
এক জীবনে এক
হিন্দু ছাড়া কিছু
হয়ে উঠতে পারলে না।
একটু বৌদ্ধ হয়ে দেখতে!
জৈনি হয়ে! শিখ হয়ে?
না,
গুরুদ্বারায় ভয়ে
মাথা ঠেকিয়েছ বোলো না
জন্ম নিয়েছ?
জন্ম কাকে বলে ভেবেছ?
জন্ম নিতে হয় –
সব ধর্মে জন্ম নেওয়া যায়
তার মানুষটার
খোঁজে লাগিয়ে কাঁধ –
ধর্ম তো মানুষেরই খোঁজ,
কাজেকর্মে,
আত্মত্যাগে তার নির্মাণ,
একেক যুগে, একেক জগতে!
ক্রিশ্চান হব, ইহুদি হব …
জন্ম নেওয়ার
কোনো শেষ আছে নাকি?
এমনকি নাস্তিকও হতে গেলে
আশ্রমের
সেবায়েতদের আদেশে
জল আনতে হয় নদীর …
গরম খিচুড়ি ঢেলে হাঁড়িতে
পাতাচাপা দিয়ে
পুঁততে হয় মাটির ভিতর,
খেতে দেরি আছে বলে।
আমি দর্শক নই শৌখিন
আমিই ভারতপর্ব,
কবীরের খঞ্জনী আছে হাতে।
এতেই তো বাজে তাল,
শোষণের বিরুদ্ধে গাই সমবেত
যুদ্ধসঙ্গীত।
১০.৬.২২
No comments:
Post a Comment