ভাবতাম হবে – পরিচয়,
সৌজন্যবিনিময়। মুড়ির ফাঁকে কথায় কথায়
চটেমটে শুনিয়ে দেব অনেকদিনকার
জমা বিরক্তি – এভাবে চলে? হল না।
মনে আছে অনুপম, বাইসিতে চাষির বৈঠকখানায়
তক্তপোষে পাহাড় করা মুড়ি, রাত এগারোটায় বসে খাচ্ছি?
অথবা খুঁজতে বেরিয়েছি অন্ধকারে,
নওরতনে শৈশবের সেই বাড়িটা, পেঁপেগাছ …
যেখান থেকে বিকেলে দৌড়োতে দৌড়োতে
ছ’বছর বয়সে যখন
পাক্কিতে পৌঁছোতাম, উনিও সেসময়
এগার বছরের, অন্য কোনো পাড়ায় উঠতি ওস্তাদ!
সেই পাক্কি, যার পিচগলা রোদের ঝিল্লিতে
স্বাধীনতার পরের দেশটার দিকে
এগিয়ে গিয়েছিল ঢোঁড়ই …
ওটাই স্টাইল ছিল অজিতদার যেন স্বয়ম্ভূ –
জনতার প্রতিবাদে এগোতে এগোতে –
হতে হতে সবর্ণ, শূদ্র, হিন্দু, মুসলমান,
জাতি, উপজাতি, বাঙালি, বিহারি …
এবং এই হওয়াটার বিশ্বাসে একদিন
জেলাস্কুলের মাঠে সভায়
বলেছিলেন – জেলার আখ গিয়ে দিল্লী সরকারের
বুকে বসে মাড়াই করবেন!
লাল ঝান্ডার মানুষ, চার বার বিধায়ক, মেনে নেবে
লোচ্চা এস্টেট আর জমিদারিগুলোর দালালেরা?
মেনে নেবে জমিতে ঝান্ডা গাড়া কৃষকদের?
মানুষতো একটা গুলিতে মরে যায়!
একশো সাতটা গুলি!
কী ভীষণ হিংস্র ভয় কায়েমী স্বার্থের, ভেবে দেখ!
১৪.৬.২১
No comments:
Post a Comment