ইঁটপাঁজা, জংলা ঘাস, বর্ষাজলে সাপ
মাঝে অবশিষ্ট দুটো পোড়ো ঘর –
লগ্নীর ঝামেলা মিটলে ভাঙবে।
ততদিন এ জমির
পাহারাদারের মেয়েটির মনে কষ্ট,
“একটুও পদের যদি হত! নোনাঘর, ভুতুড়ে উঠোন!”
মেয়েটি, বোঝা যায় লড়াকু, কোনো শহরে
স্বপ্নকাজলে কাঁচমহলে হাঁটবে কাজে চৌখস।
সঙ্গীও, নিজের মত, আশা করি জোটাবে।
কোনোদিন কোনো প্রশ্নের অমোঘ জেরবারে
এই জংলা ঘাস কি খিলখিলিয়ে উঠবে বেমক্কা সবুজ?
অন্যায় বশ্যতার অস্বীকার
ধরে রাখবে কি একগোছা হেলে সাপ?
হবে কি চোখ, মায়ের গন্ধ ছড়ানো দুটো পোড়ো ঘর?
কাদাসুরকি উপচে উঠবে পায়ের আঙুলের ফাঁকে, যেন জারক?
দিনযাপনে রক্তের সে হিমশীতল প্রয়োজন
ভরসা রাখি, মেটাবে তার এই নোনাঘর, ভুতুড়ে উঠোন।
No comments:
Post a Comment