Saturday, June 18, 2022

কাজিপেটের পাহাড়গুলো

এত তারা আমার মুঠোয় নেই যে সবকটি 
নদীর সিঁড়িতে নামব।
এত হাওয়াও আমার মুঠোয় নেই যে সবকটি 
পর্বতশ্রেণিতে বাজব।
কাজিপেটের পাহাড়গুলো মাথায়
একটা ভাঙা ক্ল্যারিওনেটের ভিতরের অন্ধকার হয়ে জেগে থাকে!

শুধু চিৎ থাকতে চাই মাটিতে যেখান থেকে
চলতে থাকা জগদ্দলের পেটটা দেখা যায় –
সন্তান তস্য সন্তানের সাথে বুড়ো হয়ে চলার চোখে;
সাদাটে, একপোঁচে চিরে দেওয়ার মত তবু পারছি না …
দমবন্ধ হয়ে আসে।
টিনের বদলে প্লাস্টিক, ইদানিং থার্মোকলের ভাঙা টুকরোগুলো
ছায়া দেয়, জল, শীত কিছুটা আটকায়। 

পৃথিবী অবশ্যই এক ছোট্ট গ্রহ, সবুজ, দ্যুতিময়!
কিন্তু আগে সে ক্রমাগত প্রসার, একটি নতুন দেশ প্রতিদিন,
নতুন ভাষা, সংহতি, পতাকা ও মাতৃত্বের
এক ভিন্ন অন্বয়।
সিওয়ানের দর্জি গায় ময়দানে পাটনার
বিশহাজার মাথা থেকে একটু উঁচুতে কাঁধ তুলে …
অথবা কাপড়ে দেয় ফোঁড়, জেলাশহরের
ছোট্ট দোকানে বসে টুলে,
প্রতিবাদ-সমাবেশের জনপ্রিয় গায়ক।
এদেশের দিনটা আজ অনেক দেশের,
অনেক ব্যথার শুশ্রূষায় এদেশের আগামিকাল, 
যোগাবে সংহারক। 
এদেশেরই আমরা কবিকুল;
দেশটা সুন্দর কেননা দ্বন্দ্বসঙ্কুল।   

৯.১২.১৯৯১



No comments:

Post a Comment