নদী যখন শুকোতে থাকে
শুকোতে শুকোতে
তলানিতে এসে ঠেকে
এপার থেকে ওপার
মাঝে মধ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে
পেরিয়ে দিব্যি যেতে
একটুও ভেজে না পা
বোঝা যায়, যাকে সমতল
বা ঈষৎ নতোদর সমতল ছাড়া
আর কিছু ভাবি নি,
আজ ঘাস, আগাছা, ফুল
নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে
কত হাজার ক্ষুদে ক্ষুদে
ঢিপির আড়ালে
টিমটিমে জলস্রোত
জলাশয় হয়, বাড়ে …
তখন অনেক ছোট পশুর জন্য
ওগুলোই নদী
এক আঁজলা জল তুলতে গেলে
মাটিও উঠে আসে কিঞ্চিৎ
বস্তুতঃ তখনই খেয়াল করি
কতগুলো ছোট ছোট
ক্ষীণ ধীরগতি স্রোত ধরে
জল বাড়লে সেটা
নদীস্রোত হয়ে ওঠে
বেশি জলে
তলানির ওই
ভুগোলটা খেয়াল থাকে না
অথচ বিজ্ঞান কিন্তু
রাখতে বলে খেয়াল
রাখে, নইলে কি আর
আমাজনের নিচে
আরেকটি নদী পাওয়া যেত?
মাঝি ও জেলেরাও তো
খেয়াল রাখে
হাত ডুবিয়ে অথবা
এমনকি আকাশের সময়
বা হাওয়ার গন্ধে বোঝে
চোরাস্রোত বইছে, বাড়ছে
সেটা কোন চোরাস্রোত
তার দিশা কী
কাটাতে হলে
কোন দিকে ঘোরাতে হবে দাঁড়!
এসব কথা নদীর
গানে অবশ্য থাকে না।
২২.৬.২২
No comments:
Post a Comment