ঠেকে শিখছিঃ একটু নারী
নয় যে, সে পুরুষ নয়;
মুসলমান না হলে পর
হিন্দু হওয়াও সম্ভব নয়;
ভীত অরণ্য, করুণ বন্য
প্রাণী নয়, তো মানুষও নয়।
গভীর ফসিল, অনেক দহন,
মৃত্যু চেনায় প্রাণের জয়!
উল্টো হাঁটা শুরু, যেদিন
সোভিয়েত ভাঙার পরেও
পকেট তুলে ধরেছিলাম
শ্রমিক লেখা লড়াকু ব্যাজ …
দুনিয়া গড়া মুখটা আমার,
ঢেকে ধর্ম-জাতের মালায়,
কত নামে তোয়াজ করে,
শিরদাঁড়ায় বাঁধলো ল্যাজ!
ভাবলাম তা’লে ঢুকেই গাই,
যে শাশ্বত মানবপথের
ভাবনালীন ভারতপথিক,
ধারা, আবহমান বাণীর! –
সুর ডাকল নদীর জলে,
ছন্দে বাজল পাহাড়গুলো,
গানের মূল কথা কিন্তু
দিল চার্বাক, বুদ্ধ, কবীর!
নয়া শতকে হিন্দুত্বের
হামলা রুখতে চিনছি যে
সমরাহ্বান – আমার মুসল-
মানি, আমার শূদ্রত্ব,
নারীত্ব! – ভুলে না যাই,
দুষ্টাচারীর সালতামামি! –
লিখছি, হাতুড়ি-কাস্তে-ব্যাজের
পিছনটায় সর্বত্র।
২৮.৪.২২

No comments:
Post a Comment